দুবাইয়ের সোনা ব্যবসায়ী আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে করা অস্ত্র মামলায় তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও মেট্রো বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক মুর্শিদ আহাম্মদের আদালত এ রায় প্রদান করেন।
এর আগে রোববার (৭ মে) দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মদ রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেছিলেন। এ মামলায় ২০ জনের মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছিল।
২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আরাভ খান তার শ্বশুর সেকেন্দার আলীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করতে শ্বশুরের মগবাজারের বাসায় যান। এ সময় একটি গুলি ভর্তি রিভলবারসহ শ্বশুরের বাসার সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় আরাভের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন ডিবি পশ্চিমের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিমের তৎকালীন উপপরিদর্শক সুজন কুমার কুন্ডু।
আসামি রবিউল ইসলাম আপনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ২০১৫ সালের ১ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির উপপরিদর্শক শেখ হাসান মুহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার।
একই বছরের ১০ মে আদালত রবিউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলায় ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ জামিন পান রবিউল। এরপর জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।