চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

আরাভকে দেশে ফেরাতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ: আইজিপি

পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, পুলিশ কর্মকর্তা মামুন খান হত্যা মামলায় পলাতক আসামি আরাভ খানকে কীভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা যায়, সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ।

আরাভ খান দুবাইয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন এমন কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই।

শনিবার ২৫ মার্চ রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের পদ্মা হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তাই নোটিশ জারি হলো। তবে এখনও তাকে গ্রেফতারের কোনো খবর আমাদের কাছে আসেনি।

রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান যেহেতু ভারতের নাগরিক এ ক্ষেত্রে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কোনো সমস্যা হবে কিনা জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। এই মুহূর্তে পুরো বিষয়টি বলতে পারব না।

অন্যদিকে শুক্রবার সকালে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ওয়ান্টেড বাই বাংলাদেশ তালিকার শুরুতেই আরাভ খান ওরফে রবিউলের নাম। ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় আসামি রবিউলের নাম, ছবি ও পরিচয় সংযুক্ত করে প্রকাশ করা হয়েছে। তার বয়স ৩৫ বছর দেখানো হয়েছে। জাতীয়তা দেখানো হয়েছে বাংলাদেশি। তার জন্মস্থান বাগেরহাটে।

২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাজধানীর বনানীর একটি বাসায় খুন হন এসবির পরিদর্শক মামুন ইমরান খান। পরদিন তার মরদেহ বস্তায় ভরে গাজীপুরের উলুখোলার একটি জঙ্গলে নিয়ে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। মামলাটি তদন্ত করে পরের বছরের এপ্রিলে অভিযোগপত্র দাখিল করে ডিবি। অভিযোগপত্রে পুলিশ উল্লেখ করে, রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে একটি চক্র ধনী ব্যক্তিদের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করত।

২০১৯ সালের এপ্রিলে পুলিশ মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় রবিউলসহ ১০ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগপত্রে রবিউল ছাড়াও আরও নয়জনকে আসামি করা হয়।

২০২০ সালের ২০ অক্টোবর হত্যা মামলাটিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর রবিউল ইসলাম পরিচয় দিয়ে একজন ব্যক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। প্রায় ৯ মাস কারাভোগের পর ওই যুবক দাবি করেন, তিনি আসল রবিউল ইসলাম নন, তার প্রকৃত নাম আবু ইউসুফ। রবিউল ইসলামের কাছ থেকে মাসিক নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়ে আসামির পরিচয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এর মধ্যে রবিউলের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আরাভ খানের স্বর্ণের দোকানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন ও চলচ্চিত্রের বেশ কয়েকজন তারকাকে আমন্ত্রণ জানানোর পর থেকে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।