মানবাধিকার রক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ‘গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন।
বুধবার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক নূর খানসহ বিশ্বের ১০টি দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেয় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ।
এ সময় এক বিবৃতি প্রকাশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এতে বলা হয়, মানবাধিকার রক্ষকদের সুরক্ষা ও সমর্থন করা মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির একটি প্রধান অগ্রাধিকার। কারণ তারা গণতন্ত্র, ন্যায়বিচারের সুযোগ, একটি প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজ, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং পরিবেশগত স্থায়িত্বের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
ওয়েবসাইটে আরো বলা হয়, পুরস্কারপ্রাপ্তদের এই দলকে সম্মান জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত। বিশ্বজুড়ে দশজন ব্যক্তিকে এ সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। যারা নেতৃত্ব ও সাহস প্রদর্শন করেন মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার প্রচার এবং রক্ষায়; সরকার এবং ব্যবসার দ্বারা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ এবং প্রকাশ করা; এছাড়া পরিবেশ রক্ষা, শাসন ব্যবস্থার উন্নতি এবং দায়বদ্ধতা সুরক্ষিত করতে এরা ভূমিকা পালন করেছে।
দশজনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের মোহাম্মদ নুর খান। তিনি বিগত তিন দশকে বাংলাদেশের দু‘টি সুপরিচিত অভ্যন্তরীণ অধিকার সংস্থার নেতৃত্ব দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন নথিভুক্ত করতে এবং বাংলাদেশে জবাবদিহিতা প্রচার করতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে অংশীদারিত্ব করেছেন।
অন্যদের মধ্যে ইলাইজে ডি সুজা ফারিয়াস (ব্রাজিল), চিম সিথার (কম্বোডিয়া), নিনো লোমজারিয়া এবং তার দল (জর্জিয়া), রোজা মেলানিয়া রেয়েস ভেলাসকেজ (হন্ডুরাস), নাসরিন সোতোদেহ (ইরান), বাশদার হাসানের নেতৃত্বে থাকা বাদিনান বন্দীদের আইনি দল (ইরাক), মোহাম্মদ এলি এল হার (মৌরিতানিয়া), ডিং জিয়াক্সি (গণপ্রজাতন্ত্রী চীন), ইকো ডেভিড জোসেফ ডসেহ (টোগো)