এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে পিছিয়ে পড়ে জয়ের ধারায় ফেরাটা অভ্যাসে পরিণত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। গত ১১ বছরে ছয়টি ফাইনালে ওঠা ক্লাবটির পরিসংখ্যান সেটাই বলছে। বৃহস্পতিবার রাতেও বার্নাব্যুতে পিছিয়ে পড়েছিল লস ব্লাঙ্কোস দল। পরে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। কোচ কার্লো আনচেলত্তি দলের আবারো ঘুরে দাঁড়ানো নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
‘এমনটা আবারো হয়েছে। এটা অসাধারণ কিছু এবং অসাধারণ পরিবেশে সেটা আবারো হয়েছে। খেলোয়াড়রা আসলে কখনোই বিশ্বাস হারায়নি। এটা কঠিন একটি ম্যাচ ছিল। আমাদের ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ ছিল। মানসিক নিয়ন্ত্রণ না হারানোর শক্তিও ছিল।’
‘সমর্থকদের ধন্যবাদ দিতে চাই। ক্লাব, এবং সর্বোপরি খেলোয়াড়দেরও, যারা অবিশ্বাস্য একটি মৌসুম উপহার দিয়েছে। এই স্কোয়াড যা করেছে, আমি তা আশা করিনি। ফাইনালে যাওয়া অবশ্যই সাফল্য, তারপর সেখানে যা ঘটার ঘটুক।’
তিন মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করা জোসেলুকে নিয়ে রিয়াল বসের ভাষ্য, ‘তার প্রতিচ্ছবিই আসলে দলের প্রতিচ্ছবি। সে এমন একজন খেলোয়াড়, বেশি সময় না পেলেও এই মৌসুমে অনেককিছু করেছে। সে-ই আসলে এই স্কোয়াডের নিখুঁত প্রতিচ্ছবি। খেলোয়াড়রা আসলে বিশ্বাস হারায়নি। দলের জন্য কিছু করতে পারবে এই বিশ্বাস তাদের ছিল।’
ধারে রিয়াল মাদ্রিদে খেলতে আসা জোসেলু রোমেলু বদলি হিসেবে নেমে বনে গেলেন যান নায়ক। পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে যেতে থাকা দলের ত্রাণকর্তা হন। জোড়া লক্ষ্যভেদে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ২-১ গোলে রোমাঞ্চকর জয়ে রিয়ালকে পাইয়ে দেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের টিকিট।