চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রযোজক ও নায়ক অনন্ত জলিলের অংশ নেয়ার জোর গুঞ্জন শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তিনি এই বিতর্কিত নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়ে বলেন, ব্যবসা সামলাতে হয়। নির্বাচন করার মতো পর্যাপ্ত সময় নেই। যাদের হাতে সিনেমা নেই, তারাই নির্বাচন করে।
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক নিপুন চেয়েছিলেন অনন্ত জলিলকে তার প্যানেলে রাখতে। কিন্তু অনন্ত জলিল ফিরিয়ে দিয়েছেন।
জলিল বলেন, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু, মোহাম্মদ হোসেনসহ নিপুন ম্যাডাম আমাকে সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন করছি না। কারণ আমি সেখানে সময় দিতে পারব না।
তিনি বলেন, আমাকে ব্যবসায় সময় দিতে হয় প্রচুর। তার মধ্যেই সময় বের করে শুটিং করি সিনেমার। কিন্তু নির্বাচন করতে হলে তো সময় দিতে হবে। কারণ সময় না দিলে কোনো ক্ষেত্রেই সফল হওয়া সম্ভব না। সে কারণে আমি বিনীতভাবে সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব নাকচ করেছি।
আমি তাদের বলেছি চলচ্চিত্রকে ভালোবাসি, এখানকার মানুষদের ভালোবাসি। আমি সিনেমাপ্রেমী মানুষ হিসেবে আজীবন চেষ্টা করব সিনেমা ও এই সেক্টরের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে।
অনন্ত জলিল আরও জানান, শুধু শিল্পী সমিতি না, ব্যবসায়িক সংগঠন বিজিএমই থেকেও তার নমিনেশন কিনেছিলেন কয়েকজন। কিন্তু সেখানেও বলেছেন ওই নির্বাচন করবেন না। বলেন, যেই নির্বাচনই করি না কেন, সেখানে সার্বক্ষণিক সময় দিতে হবে। আর সেই সময়টা আমার কাছে নেই।
সম্প্রতি যমুনা ফিচার পার্কে একটি শো রুমের ওপেনিংয়ে এসে এসব কথা বলেন অনন্ত জলিল। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর যে ক্ষমতাটা আসে সেই ক্ষমতায় দাঁড়িপাল্লার চেয়ে অপব্যবহারটা বেশি করা হয়, এ কারণে নির্বাচনে অনেকেই সমালোচিত হয় বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন এপ্রিলের শেষে অনুষ্ঠিত হবে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্যানেল প্রস্তুতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। মিশা-ডিপজল প্যানেল প্রস্তুত হলেও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নিপুন আক্তারের প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী কে হচ্ছেন তা স্পষ্ট নয়।
অনন্ত জলিল অভিনীত ‘দেত্রী দ্য লিডার’ সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে। শুটিং চলমান এই নায়ক অভিনীত আরেক ছবি ‘অপারেশন জ্যাকপট’।