প্রি ওয়েডিং, পোস্ট ওয়েডিং, মেটারনিটি শ্যুটের কনসেপ্ট তো এখন বেশ পুরনো। তবে ডিভোর্সকেও যে আনন্দ নিয়ে উপভোগ করা যায় তা বোধহয় একজন তামিল টিভি অভিনেত্রী সমাজকে দেখালেন।
বিয়ে ভাঙা সমাজের চোখে এখনও যেন গর্হিত অপরাধ। আর একটা মেয়েকে হয়তো ‘ডিভোর্সি’ তকমার কারণে হয়রান হতে হয় সবচেয়ে বেশি। আর সমাজের এই ভাবনাকেই চ্যালেঞ্জ করেছে দিনকয়েক ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ছবিগুলি। যেখানে দেখা গেছে এক তরুনী মনের খুশিতে তা উপভোগ করছেন। এই বিশেষ দিনকে স্পেশাল করে রাখতে ফটোশ্যুটও করিয়েছেন তিনি।
হাতে ‘ডিভোর্স’-এর ফেস্টুন। চোখে-মুখে মুক্তির আস্বাদ। কখনও বা একত্রে তোলা ফটো ছিড়ে ফেলছেন। কখনও আবার এক হাতে মদের বোতল নিয়ে সগর্বে জানিয়ে দিচ্ছেন তার জীবনে ৯৯টা সমস্যা থাকলেও, স্বামী তার মধ্যে একটা আর নয়। নেটপাড়ার অনেকেই উৎসুক এই মহিলার পরিচয় জানতে। যার সাহস হয়েছে সমাজের নীতি পুলিশদের বানানো নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখাতে।
এই মহিলার নাম শালিনী। একজন তামিল টিভি অভিনেত্রী। মুল্লুম মালারুম সিরিয়ালে কাজ করেছেন তিনি। এরপর সুপার মম নামের একটি রিয়েলিটি শো-তেও অংশ নেন। শালিনী ২০১৯ সালে রিয়াজকে বিয়ে করেন। তাদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। কয়েক মাস আগেই শালিনী তার স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন। যার পরে আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন।
শালিনী তার ডিভোর্স ফটোশ্যুটের সঙ্গে ক্যাপশনও জুড়়েছিলেন। যা হয়তো ছবির মতো পৌঁছয়নি মানুষের কাছে। এই অভিনেত্রী, সুপার মম লিখেছিলেন, ‘একটি খারাপ বিয়ে ছেড়ে বেরিয়ে আসাই সঠিক। কারণ আপনি সুখী থাকার যোগ্য। নিজের জীবন নিজে নিয়ন্ত্রণ করুন। আপনার ও আপনার সন্তানের জন্য একটি ভালো অবিষ্যত তৈরি করুন। বিবাহবিচ্ছেদ কোনও ব্যর্থতা নয়। এটি আপনার ও আপনার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার একটি উপায়। বিয়ে থেকে বেরিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে অনেক সাহস লাগে। আমি এই ছবি উৎসর্গ করছি সব সাহসী মহিলাদের।’