প্রথমবারের মতো জাতীয় ফুটবল দলে ডাক পেয়েছেন রাব্বি হোসেন রাহুল। বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে চুক্তি থাকলেও চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ফুটবলে তিনি ধারে ব্রাদার্স ইউনিয়নের জার্সিতে খেলছেন। প্রথম লেগের ৯ ম্যাচে ৫ গোল করে স্থানীয় ফুটবলারদের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলের মালিক। তার নজরকাড়া পারফরম্যান্স কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরার নজর এড়ায়নি। দলে ডাক পাওয়া ২৮ জনের তালিকায় তিনি এই ফরোয়ার্ডকে রেখেছেন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) বুধবার বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের হোম ও অ্যাওয়ে ম্যাচের জন্য দলে সুযোগ পাওয়া ২৮ জনের নাম জানায়। বিস্ময়করভাবে এর দুইদিন আগে গণমাধ্যমে নিজের ডাক পাওয়ার বিষয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন রাহুল। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার আগেই একজন ফুটবলাররের প্রতিক্রিয়া দেয়া এটাই প্রমাণ করে, তিনি খবরটি আগেই পেয়েছিলেন।
সাধারণত কোনো জাতীয় ফুটবল দলের স্কোয়াড ঘোষণার পরই সবাই নাম জানতে পারেন। এবার হয়েছে তার ব্যতিক্রম। ব্রাদার্সের শীর্ষ কর্তা আমের খান জাতীয় দলের ম্যানেজারের দায়িত্বেও আছেন। অবধারিতভাবেই সকল গণমাধ্যম বিষয়টি না জানা ও গুটি কয়েক গণমাধ্যমের জানার জন্য ম্যানেজার হিসেবে তার দায়িত্বে ঘাটতির বিষয়টি নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। বৃহস্পতিবার বাফুফে ভবনে আমের খান নিজের অবস্থানও পরিষ্কার করে তার বক্তব্যে তুলে ধরেন।
‘আমি যখন ব্রাদার্সের দায়িত্বে থাকি , তখন ক্লাবের কেউ যদি জিজ্ঞেস করে যে আপনার দলের কেউ সুযোগ পেয়েছে কিনা, আমি কিন্তু কিছুই বলতে পারি না। আমরা একটা চিঠি গ্রহণ করেছি। আমার ব্যক্তিগত মত, আগে দল ঘোষণা হয়ে গেলে এই সমস্যাটা হতো না। বিষয়টা মাথায় রাখলে ভালো হতো। তিন দিন আগে দল ঘোষণা করলে এই প্রশ্ন আসতো না। ’
এ সময় বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বিদেশে থাকা সত্ত্বেও খেলোয়াড় চেয়ে ক্লাবের কাছে দেয়া তার সাক্ষরিত চিঠি কীভাবে গেল, সেই প্রশ্নটাও বড় হয়ে ওঠে। ফেডারেশনের মিডিয়া ম্যানেজার অবশ্য দিয়েছেন পরিষ্কার ব্যাখ্যা।
‘পৃথিবীর সকল জায়গায় শুধু ফুটবল ফেডারেশন নয়, যেকোনো প্রতিষ্ঠানে অনলাইন সিগনেচার বলে একটা বিষয় আছে। ই-মেইলের মাধ্যমে কিছু পাঠানোর পর যদি কেউ বলেন হ্যাঁ সব ঠিক আছে, তখন তার স্ক্যান সিগনেচার ব্যবহার করতে পারি। তিনি যেখানেই থাকুক না কেন। ’