চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সত্য বলার জন্য দেউলিয়া, মামলার নিষ্পত্তি চান অ্যাম্বার

অ্যাম্বার হার্ড ঘোষণা করেছেন যে তিনি তার প্রাক্তন স্বামী, অভিনেতা জনি ডেপের বিরুদ্ধে দায়ের করা মাল্টিমিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলায় একটি নিষ্পত্তিতে পৌঁছেছেন।

ইনস্টাগ্রামে এই বিষয়ে অ্যাম্বার একটি নোট শেয়ার করেছেন। ভার্জিনিয়া আদালত থেকে জনি ডেপকে ১০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরে এই ঘোষণা দিয়েছেন অ্যাম্বার।

অ্যাম্বার লিখেছেন, ‘মানহানি মামলার নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি এই মামলা করিনি। আমি শুধু নিজের সত্যটা বলে গিয়েছি, আমার ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে জেনেও। সামাজিক মাধ্যমে যে ধরনের নোংরামির শিকার হয়েছি তা হলো অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খোলা নারীদের ‘রি-ভিকটিমাইজড’ হওয়া। অবশেষে আমার কাছে এমন কিছু থেকে নিজেকে মুক্ত করার সুযোগ এসেছে যা থেকে আমি ছয় বছর আগে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমেরিকার আইনি ব্যবস্থায় বিশ্বাস হারিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, গোপনীয় সাক্ষ্য যেখানে ফাঁস হয়ে সামাজিক মাধ্যমের বিনোদনের খোরাক হয়। যুক্তরাজ্যের বিচারকের সামনে যখন দাঁড়িয়েছি, তখন নিরপেক্ষ ও ন্যায্য বিচার পেয়েছিলাম। আদালত প্রমাণ খুঁজে পেয়েছিল যে আমি পারিবারিক ও যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে সকল সাক্ষ্যপ্রমাণ দেয়ার পরেও সাক্ষ্যকে সমর্থন করে এমন প্রচুর, প্রত্যক্ষ প্রমাণ বাদ দেওয়া হয়েছিল। জনপ্রিয়তা এবং ক্ষমতাই সেখানে যুক্তির চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি এমন সব অপমানের সম্মুখীন হয়েছিলাম যেন আমার বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে পড়ে। এত কিছুর পরেও আমার মার্কিন আপিল সফল হয়। নতুন বিচারকের মাধ্যমে পুনর্বিচার হলে সব সত্য সামনে আসবে। তবে আমার পক্ষে তৃতীয়বারের মতো আইনি জটিলতায় জড়ানো সম্ভব নয়।’

অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ‘সময় অনেক মূল্যবান। আমার সময়গুলোকে উৎপাদনশীল এবং উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ব্যয় করতে চাই। অনেক বছর ধরে আমি একটি কঠিন এবং ব্যয়বহুল আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে আটকে আছি, যা আমার বাক স্বাধীনতার অধিকার রক্ষা করতে অক্ষম বলে প্রমাণিত হয়েছে। আমি আমার সামর্থ্যের বাইরে এমন কোনো বিলের ঝুঁকি নিতে পারি না – যেটি কেবল আর্থিক নয়, মানসিক এবং শারীরিক ধাক্কাও। একজন নারীকে সত্য বলার জন্য দেউলিয়া হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হওয়া উচিত নয়, তবে দুর্ভাগ্যবশত এমনটাই হয়ে থাকে।’

২০১৫ সালে ঘর বেঁধেছিলেন জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ড কিন্তু দুই বছরের মধ্যে ২০১৭ সালে বৈবাহিক সম্পর্কের ইতি হলিউডের তারকা দম্পত্তি। এরপর ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টে এক নিবিন্ধে নিজেকে পারিবারিক সহিংসতার শিকার হিসেবে তুলে ধরেন হার্ড। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৫ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানির মামলা করেন ডেপ। তার পাল্টায় ১০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে পাল্টা মামলা করেন হার্ড।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস