দেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের আচরণ প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে জাপান কেন, কোন রাষ্ট্রদূতের নাক গলানো আমরা কখনোই মেনে নিতে পারি না। তাদেরকে আবারও সর্তক করা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। একটি রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা এদেশকে স্বাধীন করেছি। ফলে কারও কাছে পদানত হওয়ার প্রশ্নই আসে না। দেশের আত্মমর্যাদা রক্ষায় আমরা কাউকে ছাড় দেব না।
বুধবার মেহেরপুরের মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুস্পমাল্য অর্পন করেন কৃষিমন্ত্রী। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সংবিধানের আর্টিকেল ১২৬ এ সুস্পষ্ট বলা আছে নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করবেন। বিএনপিও নির্বাচনে আসবে। বিএনপি এর আগেও নির্বাচন বন্ধ করা নিয়ে অনেক সহিংসতা করেছে। এবারও সেই সহিংসতার পথ বেছে নিলে, তা রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করা হবে। বিএনপিকে নির্বাচনে আসতেই হবে।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সার, জ্বালানী তৈল ও আমদানী খাতে সরকারকে প্রচুর পরিমাণের ডলার র্ভতুকী দেয়া লাগছে। ফলে দেশে ডলার সঙ্কট আছে সত্যি। তারপরও দেশে খাদ্য সঙ্কট হবে না। খাদ্য মজুদ রয়েছে পর্যাপ্ত।
তিনি বলেন, আমন ধানের সরকারী দর নিয়ে কৃষকের অসন্তুষ্টি এবং ধানে লোকসান বিষয়ে মন্ত্রী বলেন- আমনে কৃষকের উৎপাদন খরচ কম। তাই ২৮ টাকা দর ঠিকই আছে। বাজারে চালের দর চড়া। ফলে আমন ধানে কৃষকের এবার লোকসান হবে না।