আদালতে জবানবন্দি দেয়ার সময় বার্সেলোনার একটি নাইটক্লাবে এক তরুণীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দানি আলভেজ। ব্রাজিলের সাবেক মিডফিল্ডারের দাবি, শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে তাদের দুজনেরই সম্মতি ছিল।
আলভেজের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানি গত সোমবার শুরু হয়। যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনা তরুণী সাক্ষী, পুলিশ এবং বিশেষজ্ঞরা সাক্ষ্য দেয়ার দুইদিন পর বুধবার ৪০ বর্ষী ফুটবলার আদালতে নিজের বক্তব্য রাখেন।
আলভেসকে একটি লম্বা-হাতা সাদা সোয়েটার, গাঢ় ট্রাউজার এবং চশমা পরিহিত অবস্থায় আদালতে হাতকড়া পরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার মা বাইরে উপস্থিত ছিলেন।
২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাইটক্লাবের বাথরুমে এক তরুণীকে যৌন সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করার দায়ে অভিযুক্ত হন আলভেজ। বিষয়টি নিয়ে আদালতে নিজের আইনজীবীর করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সেই ধরণের মানুষ নই।’
অভিযোগকারী ব্যক্তি আইনজীবীদের বলেছিলেন, তিনি আলভেজের সঙ্গে নাচছিলেন এবং তার সঙ্গে স্বেচ্ছায় বাথরুমে প্রবেশ করেছিলেন। কিন্তু পরে যখন তিনি বের যেতে চাইছিলেন তখন, আলভেজ তাকে যেতে দেননি। তরুণীর ভাষ্য, তিনি আমাকে চড় মেরেছেন, অপমান করেছেন এবং ধর্ষণ করেছেন।
এ সকল অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন আলভেজ। বলেছেন, ‘আমরা দুজনেই নিজেরা উপভোগ করছিলাম। তিনি কখনো আমাকে চলে যেতে বলেননি বা এমন কোনো ইঙ্গিত দেননি যে আমার সাথে যৌন সম্পর্ক করতে চান না। আমি তাকে থাপ্পড় মারিনি লিংবা অপমান করিনি।’
এর আগে ব্রাজিলের সাবেক ফুলব্যাকের বিরুদ্ধে ৯ বছরের জেল শাস্তি দাবি করেন স্পেনের আইনজীবীরা। বার্সা ও পিএসজির সাবেক এই খেলোয়াড়ের কাছে ভুক্তভোগীর জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার ইউরো ক্ষতিপূরণও দাবি করেন তারা।