‘তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের’ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারতের ফুটবলের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে ফিফা। এর ফলে আগামী ১১-৩০ অক্টোবরে ভারতের মাটিতে অনূর্ধ্ব-১৭ নারী বিশ্বকাপের আসর আয়োজনে দেশটির সামনে আর কোনো বাধা নেই।
শুক্রবার ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)- এর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়টি ফিফা নিশ্চিত করেছে। নিষেধাজ্ঞা কাটাতে ভারতের সুপ্রীম কোর্ট কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর (সিওএ) ভেঙে দেয়ার রায়ের পরই ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে এমন সিদ্ধান্ত এলো।
ওয়েবসাইটে দেয়া প্রেস রিলিজে ফিফা বলেছে, ফিফা কাউন্সিলের ব্যুরো অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) উপর অযাচিত তৃতীয় পক্ষের প্রভাবের কারণে যে স্থগিতাদেশ আরোপ করা হয়েছিল, তা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার কারণে এএফসি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের অনুমতি না থাকায় গোকুলাম কেরালা তাসখন্দ থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছিল। তবে ভারতীয় ক্লাবগুলো এখন মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে।
ফিফা এবং এএফসি পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালিয়ে যাবে এবং এআইএফএফকে সময় মতো নির্বাচন আয়োজনে সহায়তা করবে। ২ সেপ্টেম্বর নির্বাচন হবে। ভারতের সাবেক দুই ফুটবলার ভাইচুং ভুটিয়া এবং কল্যাণ চৌবে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার কারণে খেলার অনুমতি না থাকায় এএফসি নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ না খেলেই তাসখন্দ থেকে দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছিল গোকুলাম কেরালা। তবে প্রেক্ষাপট বদলে যাওয়ায় মোহনবাগান চলতি বছরের শেষ দিকে এএফসি কাপে ইন্টার-জোন প্লেঅফ সেমিফাইনাল ম্যাচ খেলতে পারবে।
ভারতের জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির নেতা ও মহারাষ্ট্রের রাজ্যসভার সদস্য প্রফুল প্যাটেল অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) সভাপতির পদে ছিলেন। মেয়াদ শেষের পরও তিনি দায়িত্বে থাকায় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তখনকার কমিটি অবৈধ ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট প্রফুল প্যাটেলকে তার পদ থেকে অপসারণ করেন।
আদালতের নির্দেশনায় কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর (সিওএ) দ্বারা এআইএফএফ পরিচালিত হচ্ছিল। ফিফার আইন অনুযায়ী যা স্পষ্টভাবে ‘তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ’। এমন অযাচিত হস্তক্ষেপের ফলেই ভারতকে ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করেছিল বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি।