চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বরা ব্যস্ত সেলফিতে!

‘সেলফি’- শব্দটির সাথে পরিচয় নেই কিংবা তুলতে পছন্দ করেন না, এই সময়ে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল! কিন্তু গত শতকেই যারা পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন, তারা কি পরিচিত ছিলেন এই শব্দটির সাথে?

প্রযুক্তি সম্পর্কে যার মৌলিক ধারণাও নেই, তারও এই সহজ প্রশ্নের উত্তর জানা! অনায়াসে বলবেন, গত শতকের কারও অন্তত ‘সেলফি’ শব্দের সাথে পরিচয় থাকার কথা নয়! তাহলে আব্রাহাম লিঙ্কন, গান্ধীজী থেকে কার্ল মার্ক্স, লেনিন, স্ট্যালিন, আম্বেদকর, আইনস্টাইন, চে গুয়েভারা, বব মার্লে, এলভিস প্রিসলি থেকে মেরিলিন মনরোদের সেলফিরত ছবি আবিষ্কার হলো কীভাবে?

Bkash July

কী, এমনটা শুনে চোখ কপালে উঠলো! সত্যি সত্যিই, রাজনীতি ও শোবিজ অঙ্গনের বহু কালজয়ী ব্যক্তিত্বকে দেখা গেল হাল সময়ের সেলফিরত ভঙ্গিতে! ভিড়ের মাঝে দিব্যি সেলফি তুলছেন তারা।‌ আর সেই ছবিগুলোই এখন নেট দুনিয়ায় ভাইরাল!

বাস্তবতা হচ্ছে, বিশ্ব বিখ্যাত এই ব্যক্তিরা প্রয়াত হয়েছেন বহু আগেই! আর এই সেলফিগুলোও তারা তুলেননি। বরং সবটাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারসাজি! কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় বিখ্যাত এই মানুষদের ‘সেলফি’ আর্ট করলেন শিল্পী জো জন মুলুর। একটি এআই মডেল ব্যবহার করে সব গুণী ও জনপ্রিয় ব্যক্তিদের বিশেষ কায়দায় এডিট করেন তিনি। সেই এডিটের ফলে দেখে মনে হবে সবাই সেলফি তুলতে ব্যস্ত।

Reneta June


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ছবিগুলো তৈরী করে কিছুটা মজা করেই বিখ্যাত মানুষদের সেলফিগুলো জো তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছিলেন। দুদিনেই রীতিমত লাইক শেয়ারের বন্যা! প্রশংসাও পেয়েছেন বিস্তর।

ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের ক্যাপশনে ছবিগুলো শেয়ার করে শিল্পী লিখেছেন,‘কম্পিউটারের পুরনো হার্ডড্রাইভে অজস্র সেলফির খনি আবিষ্কার করি। সবই অনেক কাল আগে আমাকে পাঠিয়েছিলেন বন্ধুবান্ধবেরা।’ এর পরই এই শিল্পীর মাথায় খেলে যায়, ওই ছবিগুলির উপর কারিকুরি করে যদি নিজস্বীতে ধরা যায়, তবে কেমন হয়? তা-ই করেছেন মুলুর।

তিনি জানিয়েছেন, ‘মিডজার্মি’ নামে একটি এআই সফটওয়ার দিয়ে গুণীজনদের নিজস্বীতে তুলে ধরেছেন। সেই সঙ্গে কিছুটা ফটোশপের কারসাজিও জুড়ে দিয়েছেন। এই সিরিজ়ের নাম দিয়েছেন, “সেলফি’স ফ্রম দ্য পাস্ট”।

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View