ফেডারেশন কাপের ফাইনালে জয়ের পর আনন্দের রেশ এখনও ঢেউ দিচ্ছে মোহামেডানের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ-কর্মকর্তাদের। মতিঝিল পাড়ার ক্লাবটির এই আনন্দের মাঝেই আছে একটি দুঃসংবাদ। অপেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে দলটির কর্তারা এএফসির ক্লাব লাইসেন্স করাননি। যেজন্য ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েও সাদাকালোরা এএফসি ক্লাব কাপে অংশ নিতে পারবে না।
শিরোপাজয়ী কোচ আলফাজ আহমেদের কাছে এএফসি ক্লাব কাপে অংশ নেয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন ছোঁড়া হয়েছিল। মোহামেডানের সাবেক ফুটবলার বললেন, ‘ক্লাব লাইসেন্স করার জন্য অনেক শর্ত পূরণ করতে হয়। এ ব্যাপারে আমরা সবাই জানি না। শর্ত অনুযায়ী ক্লাব হয়তো লাইসেন্স করাতে পারেনি। এটা সামনে ক্লাব কর্তৃপক্ষ অবশ্যই করবে, ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগ নেবে।’
ক্লাবকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিতির সুবর্ণ সুযোগটা মোহামেডান যে অনেকটা হেলায় হারাতে চলেছে, সেটা অনেকটাই পরিষ্কার। আলফাজ যদিও বললেন, ‘সুযোগ থাকলে সেটা ক্লাবের অবশ্যই নেয়া উচিৎ।’
সাদাকালোদের ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ নকিবের কাছেও ক্লাব লাইসেন্স সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। হতাশা নিয়েই জানালেন, সময়মতো ক্লাবের পক্ষ থেকে কাগজপত্র জমা দেয়া সম্ভব হয়নি বলেই এমন দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
‘আমরা এবছর এএফসির লাইসেন্স করিনি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলব। লাইসেন্স পেতে গেলে যেসব শর্ত পূরণ করা লাগে, সেগুলো সম্পন্ন করে ফুটবল ফেডারেশনে জবা দেবো।’
মোহামেডানের হয়ে ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে একাই ৪ গোল করে ফেডারেশন কাপ জয়ের নায়ক বনে গেছেন সোলেমান দিয়াবাতে। মালির ফরোয়ার্ড এখন হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশ ফুটবল অঙ্গনের মধ্যমণি। দর্শকরা তো বটেই, ক্রীড়া সাংবাদিকরাও তার সঙ্গে কথা বলতে হয়ে উঠছেন মরিয়া। নানা কথার মাঝে এএফসি কাপে খেলতে না পারার বিষয়টি নিয়ে বলেছেন তিনিও।
৩২ বর্ষী ফুটবলার বললেন, ‘ফেডারেশন কাপ জিতে আমরা খুশি। এএফসি কাপে খেলা আমার কাছে এখন মুখ্য বিষয় নয়। আমাদের কাছে বড় ব্যাপার ফেডারেশন কাপ জয়।’