শুধু বর্ষা মৌসুমেই এডিস মশা নিধনের কার্যক্রম পরিচালনা করলে চলবে না উল্লেখ করে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেছেন, ‘ডেঙ্গু এখন সারা বছরের সমস্যা তাই এটি প্রতিরোধ করতে এডিস মশা নিধনে বছরব্যাপী কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে।’
মঙ্গলবার ২৫ জুলাই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের উদ্যোগে আয়োজিত এডিস মশা নিধন ও ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে জনসচেতনতামূলক র্যালির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, মশা নিধনে যে কীটনাষক ব্যবহার করা হচ্ছে তার গুণগত মান যাচাই করা আবশ্যক এবং মশক নিধনের জন্য ওষুধ ছিটানোর পদ্ধতি ঠিক আছে কি-না এ নিয়ে এখন ভাববার সময় এসেছে। মশা নির্মূলের জন্য সিটি কর্পোরেশন যে আর্থিক বাজেট পায় তার সঠিক ব্যহার হচ্ছে কি-না তার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা উচিৎ।
অনষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম সেন্টু।
সভাপতির বক্তব্যে শফিকুল ইসলাম সেন্টু বলেন, মশক নিধন কার্যক্রমসহ ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়ররের নেতৃত্বে আমরা সকল শ্রেণি পেশার নাগরিকদের সম্পৃক্ত করে একযোগে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এ অভিযান এডিস মশা নিধন না হওয়া পর্যন্ত চলবে। আমরা আশা করি অচিরেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ করে নগরবাসীকে স্বস্তি প্রদান করা সম্ভব হবে। তবে নগরবাসীকেও তার নিজ নিজ বাসা বাড়ির আঙ্গিনা, ফুলের টব, ছাদ বাগান, এসি ফ্রিজের জমানো পানি পরিষ্কারসহ এডিস মশার বিস্তার রোধে সচেতন হবে।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন জোন-৫ এর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াসিম, বাইতুল ফালাহ মাদরাসা ও এতিমখানার প্রিন্সিপাল মাওলানা মো. আবু তালহা, ইসলামি চিন্তাবিদ মাওলানা মো. জালাল উদ্দিন, মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজার বনিক সমিতির সভাপতি মো. লুৎফর রহমান বাবুল, জামিয়া ওয়াহেদিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার প্রিন্সিপাল মাওলানা মো. জুবায়ের প্রমুখ।
র্যালিটি ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে এডিস মশা নিধনে ব্লিচিং পাউডার, মশক নিধন কর্মীদের জন্য গামবুট, কেরোসিন, হারপিক, মশা মারার ওষুধ বিরতণ করে। এছাড়াও কর্মসূচির মধ্যে ওয়ার্ডের বিভিন্ন বাড়ির দু’পাশের মধ্যের প্যাসেজে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করাসহ মশা নিধনের কীটনাষক ছিটানো হয়।