বাংলাদেশ মায়ানমার সীমান্তে ব্যাপক গোলা-গুলি ও বোমা বর্ষণে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকটি গুলি ও মর্টারশেল এসে পড়েছে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে।
শনিবার ৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ৩টা থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে থেমে থেমে গুলি ও বোমা বর্ষণ চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দেয়া তথ্য মতে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে প্রবীর চন্দ্র ধর নামে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। প্রবীর চন্দ্র ধর তুমব্রু হিন্দু পাড়ার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত করেন ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (ওসি) মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া।
গোলাগুলিতে কোনাপাড়ার কয়েকটি ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংঘর্ষে টিকতে না পেরে মায়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ বিজিপির ১৪ জনেরও বেশি সদস্য বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের ঘুমধুম বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। সীমান্ত পথে আরো ৩০ জনেরও বেশি বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে ঢোকার জন্য অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানিয়েছেন, মিয়ানমারের বিজিপির সদস্যরা তুমব্রু সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশ আশ্রয় নিয়েছে। সীমান্তের উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে সীমান্তের ১০০ গজ দূরত্বে থাকা মিশকাতুন নবী দাখিল মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়ার কথা জানান বান্দবান্দরবান জেলা শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইনী।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মান্নান জানান, আজ সকাল থেকে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকার অভ্যন্তরে গোলাগুলি বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্ত এলাকার বাইশ ফাঁড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ গুমধুম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি নিরাপত্তা বাড়িয়েছে সীমান্তে। নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি।