মাঝ আকাশে যাত্রীদের মধ্যে ঝামেলা প্রায় সময়ই হয়ে থাকে। তবে সাধারণ দু’জন বা তিন-চারজনের ঝামেলাই বেশি দেখা যায়। কখনও কখনও সেই ঝামেলা হাতাহাতিও পরিণত হয়। সম্প্রতি একটি বিমানে এমনই দৃশ্য দেখা গেল। তবে সেই ঘটনায় মারামারি করতে দেখা গেল ৮ যাত্রীকে। যার কারণে বিমানের জরুরি অবতরণ করান পাইলট।
রোববার ২১ জানুয়ারি হিন্দুস্তান টাইমস’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শুক্রবার লন্ডন থেকে ক্যানারি আইল্যান্ডগামী বিমানে আট জন যাত্রীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি এমন হয় যে পাইলটকে বাধ্য হয়েই জরুরি অবতরণ করাতে হয় বিমানটিকে।
জানা গিয়েছে, যাত্রাপথের মাঝেই অন্য এক দেশের বিমানবন্দরে বিমানটিকে অবতরণ করান পাইলট।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার স্থানীয় সময় ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে উড়ে গিয়েছিল রায়ানএয়ার ৩৫১১ নং উড়ো যানটি। চার ঘণ্টায় লন্ডন থেকে ক্যানারি আইল্যান্ডের ল্যানজোরোটে পৌঁছনোর কথা ছিল। তবে পর্তুগালের ফারো বিমানবন্দরে এটি অবতরণ করানো হয়। লন্ডনের সময়ে তখন ১০টা ৫০ মিনিট। গন্তব্যে পৌঁছতে তখনও ৫৫ মিনিট দেরি।
ব্রিটিশ দৈনিক সংবাদপত্র ‘দ্য ডেইলি মেল’ এক প্রতিবেদনে প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানায়, হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়া আটজনই মত্ত অবস্থায় ছিলেন। এই ঘটনার জেরে বিমানের মহিলা যাত্রীদের সমস্যা হচ্ছিল বলেও দাবি করা হয় প্রতিবেদনটিতে। এদিকে ৮ জনের মারামারি থামাতে গেলে বিমানবালাকে ধাক্কা দেওয়া হয়। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
বিমানসেবিকাকে ধাক্কা মারার ঘটনার পর পাইলট ঘোষণা করেন, বিমানটির জরুরি অবতরণ করবে। এই আবহে পর্তুগালে নামে বিমানটি। সেই পর্তুগিজ পুলিশ এসে সেই আট যাত্রীকে বিমান থেকে নেমে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই সময় একজন যাত্রী কোনভাবেই বিমান ত্যাগ করতে অস্বীকার করে। তারপর পুলিশ সেই যাত্রীকে গ্রেপ্তার করে জোর করে বিমান থেকে নামাতে বাধ্য হয়।
পর্তুগিজ পুলিশ জানায়, বিমানটি জরুরি অবতরণ করলে সেখানে গিয়ে তারা দেখে, আটজন যাত্রী মত্ত অবস্থায় হুলস্থুল কাণ্ড বাঁধাচ্ছেন বিমানের ভিতরে। কেউ লাগেজ কেবিনে জোরে জোরে ধাক্কা দিচ্ছেন, তো কেউ চেঁচাচ্ছেন। এই যাত্রীদের বিমান ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হলে নাকি ৭ জন তা সঙ্গে সঙ্গেই মেনে নেন। তবে বেঁকে বসেন এক যাত্রী। তাকে বিমান থেকে নামাতে বেশ কষ্ট হয় পুলিশের। সেই একজন যাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পর্তুগিজ পুলিশ।