ঠাকুরগাঁওয়ে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম নামের এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের হাতে আটক ছেলেটির পরিবারের দাবি সে মানসিক প্রতিবন্ধী।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুখানপুকুরী ইউনিয়নের লাউথুতি গ্রামের ফজর আলীর মেয়ে ফারিয়ার মরদেহ ভুট্টাখেত থেকে উদ্ধার করা হয়।
ফজরের প্রতিবেশী আব্দুস সালামের স্ত্রী রওশন আরা বেগম জানান, বাড়ির কাছে তিনি গরুর খাবারের জন্য তার ভুট্টাখেতে যান। ভুট্টার চারা গাছ তুলতে গিয়ে শিশু মেয়েটিকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। দেখে চিৎকার করলে মেয়েটির মা সেখানে ছুটে যান। পরিবারের সদস্যরা মনে করছিল ফারিয়া বেঁচে আছে। পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসক মেয়েটিকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন।
ফারিয়ার বড় বোন ফারজানা বেগম জানায়, সোমবার বিকেলে তাদের এলাকার গিয়াসউদ্দীলের ছেলে শফিকুল তার হাত ধরে ভুট্টা ক্ষেত নিয়ে যাচ্ছিল। অপরদিকে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী বলে শফিকুল তাকেও কুপ্রস্তাব দেয়।

স্থানীয়রা জানায়, ওই যুবককে দেখলে শিশু মেয়েরা ভয় পায়। এর আগেও সে এরকম ঘটনায় ঘটায়।
তবে আটক শফিকুল ইসলামের বাবা গিয়াসউদ্দীন ও মা সুফিয়া বেগমের দাবি তাদের ছেলে মানসিক বিকারগ্রস্ত। তাকে রাজধানী ঢাকার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। তাছাড়া সে প্রতিবন্ধী। শফিকুল এ কাজ করতে পারে না বলে দাবি পরিবারের।
ভুল্লী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য আটক ওই যুবককে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে।