পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে গত ১৩ দিনে দেশে ফিরেছেন মোট ৩০ হাজার ৭৮২ হাজি। চলতি বছর সৌদি আরবে গিয়ে মোট ২৩ হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেন।
বুধবার ২৭ জুলাই ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইটি হেল্প ডেস্ক থেকে হজ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
মঙ্গলবার ২৬ জুলাই পর্যন্ত মোট ৮৪টি ফ্লাইটে হাজিরা দেশে ফিরেছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৪১টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ৩৮টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের পাঁচটি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন তারা।
বুলেটিনে আরও জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ হজ মেডিক্যাল টিমের একটি প্রতিনিধি দল গত সোমবার রাতে মক্কার কিং আবদুল আজিজ হাসপাতাল, আল নূর হাসপাতাল, কিং ফয়সাল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা অসুস্থ বাংলাদেশি হাজিদের দেখতে যান এবং অসুস্থ হাজিদের চিকিৎসা সেবার বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।
২৩ হজযাত্রীর মৃত্যু
চলতি বছর সৌদি আরব গিয়ে মোট ২৩ হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেন। এর মধ্যে পুরুষ ১৬ জন এবং নারী ৭ জন। তাদের মধ্যে মক্কায় ১৯, মদিনায় তিন ও জেদ্দায় একজন মারা যান।
মৃত্যুবরণকারী হজযাত্রীরা হলেন, ঢাকার বিউটি বেগম, মাদারীপুরের শিবচরের লায়লা আক্তার, রংপুরের পীরগাছার আবদুল জলিল খান, কুমিল্লা আদর্শ সদরের ধনপুরের মোছা. রামুজা বেগম, জয়পুরহাট সদরের মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা, রাজধানীর বাড্ডা সাঁতারকুল এলাকার মোছা. ফাতেমা বেগম, নোয়াখালীর নুরুল আমিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মো. জাহাঙ্গীর কবির, টাঙ্গাইলের মো. আব্দুল গফুর মিয়া, ঢাকার তপন খন্দকার, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের মো. রফিকুল ইসলাম, রংপুরের মো. খয়বর হোসেন, নওগাঁর মো. আব্দুল মোত্তালিব, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিরিনা আক্তার, সিলেটের মো. ফয়জুর রহমান, টাঙ্গাইল জেলার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা জেলার ফারজিন সুলতানা, ঢাকার মোরশেদ হাসান সিদ্দিকী এবং সবশেষ ময়মনসিংহ জেলার মোছা. মমতাজ বেগম।
গত ৮ জুলাই সৌদি আরবে হজ অনুষ্ঠিত হয়। ৫ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত ১৬৫টি ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যান ৬০ হাজার ১৪৬ হজযাত্রী। এরপর গত ১৪ জুলাই থেকে হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ৪ আগস্ট।