উৎসবের ব্যয় ও আয় থেকে সঞ্চিত টাকা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের হাতে বানভাসি মানুষদের সহযোগিতায় তুলে দিয়েছে ‘রিজওয়ান’। সঞ্চিত অর্থের পরিমান ৪,১৭,১৫০। সংস্কৃতি মন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ৪,১৭,০০০ টাকা। সেপ্টেম্বরে বন্যাপীড়িত বাংলাদেশের মঞ্চ নাটকে ‘নাটবাঙ্গলা নাট্যাৎসব’ করেছিল মনন। তাদের প্রযোজনা সৈয়দ জামিল আহমেদ এর নির্দেশনায় ‘রিজওয়ান’ নাটকের দশ দিনব্যাপী উৎসব হয়।
শিল্পকলা একাডেমিতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রীর কাছে এ টাকা তুলে দেয় মনন-নাটবাঙ্গলা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী । তরুণ ভারতীয় নাট্যকার অভিষেক মজুমদার-এর লেখা নাটকটির ১৯টি প্রদর্শনী ১০ দিনে মঞ্চস্থ হয়। কাশ্মীরি বংশদ্ভূত মার্কিন কবি আগা শাহিদ আলীর কাব্যগ্রন্থ ‘দ্য কান্ট্রি উইদাউট আ পোস্ট অফিস’ অবলম্বনে নাটকটি বাংলায় ভাষান্তর করেছেন ঋদ্ধিবেশ ভট্টাচার্য। আর মঞ্চ, আলোক পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন সৈয়দ জামিল আহমেদ।
উৎসবে টিকেট বিক্রি থেকে আয় হয় ১২,৯৩,৪০০ টাকা। পাশাপাশি প্রযোজনা-ব্যয়ের বাইরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কারিগরি, অবকাঠামো ও জনবল সহায়তা ব্যয় শিল্পকলা একাডেমি নিজে নির্বাহ করেছে। সে হিসাবে ‘রিজওয়ান’ প্রযোজনা থেকে নাটবাঙলার সর্বমোট আয় ২২,৫৩,৪০০ টাকা। খরচের খতিয়ান অনুযায়ী মনন ও তার নাট্যবিভাগ নাটবাঙলা প্রযোজনা রিজওয়ান-এর জন্যে মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা পেয়েছিল। উৎসবের ব্যয় বাদ দিয়ে সহায়তা থেকে ৯ লাখ টাকা প্রযোজনায় যুক্ত হয়। কুশীলব ও কলাকুশলীদের সম্মানী ৫,৩৯,৫০০ টাকা, মহড়া ব্যয় ৫,২৪,৭৪২ টাকা, মঞ্চ, পোশাক ও সাজ-সরঞ্জাম ব্যয় ৪,৫৮,৫০৮ টাকা, প্রচার, প্রকাশনা, উৎসবসজ্জা ও একটি পূর্ণাঙ্গ অডিওভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টেশন ব্যয় ২,৪৭,২৬৬ টাকাসহ সর্বমোট ব্যয় ১৮,৩৬,২৫০ ।
ফলে, আয় ব্যয়ের হিসাবে সঞ্চিত হয় ৪,১৭,১৫০ টাকা। যেখান থেকে ৪,১৭,০০০ টাকা মন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। ‘রিজওয়ান’ এর নির্দেশক অধ্যাপক সৈয়দ জামিল আহমেদ এবং অন্যতম সহকারী নির্দেশক ও কেন্দ্রীয় অভিনয় শিল্পী মহসিনা আক্তার প্রযোজনা হতে কোনো সম্মানী গ্রহণ করেননি।