চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘৩১ মাসে রেলক্রসিংয়ে ২১৯ জন নিহত’

দেশের বিভিন্ন রেলক্রসিংয়ে ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই পর্যন্ত ১১৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ২১৯ জন নিহত হয়েছেন।

শনিবার সেভ দ্য রোড এক প্রতিবেদনে রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের ২৯৫৯ কিলোমিটার রেলপথে ২৮৫৬টি রেলক্রসিং আছে। এর মধ্যে ১৪৯৫টি বৈধ এবং ১৩৬১টি অবৈধ। ৯৬১টি রেলক্রসিংয়ে কোনো গেইটম্যান নেই। দেশে ৮২% রেলক্রসিং অনিরাপদ।

সেভ দ্য রোড জানায়, রেলে ২০২০ সালে দুর্ঘটনা ঘটে ৩৮টি। নিহত হয়েছেন ৬৯ জন। ২০২১ সালে রেলপথে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৩টি। নিহত হয়েছেন ৭৬ জন। ২০২২ সালের (২৮ জুলাই পর্যন্ত) রেলে দুর্ঘটনা ঘটে ৩৫টি। নিহত হয়েছেন ৭৪ জন।

প্রতিবেদনে সংগঠনটি রেলক্রসিং দুর্ঘটনার কিছু কারণ উল্লেখ করেছে। সেগুলো হলো:

১. অননুমোদিত ও অবৈধ বিবেচনা করে বহু রেলক্রসিংয়ে গেইটম্যান ও গেইটবারের ব্যবস্থা না করা।
২. বৈধ রেলক্রসিংসমূহে গেইটম্যানদের দায়িত্বে অবহেলা এবং গেইটম্যান হিসেবে লোকবলের সংকট।
৩. যানবাহনের চালক ও সড়ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে অসচেতনতা ও অধৈর্য্য মানসিকতা।
৪. দুর্ঘটনায় দায়ীদের উপযুক্ত শাস্তি না হওয়া এবং রেলপথ ব্যবস্থাপনায় আইনের শাসনের অভাব।

একইসঙ্গে রেলওয়ের বর্তমান পরিস্থিতির উত্তরণে সেভ দ্য রোড-এর পক্ষ থেকে ৭টি সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।

১. সব রেলক্রসিংয়ে গেইটম্যান নিয়োগ ও উপযুক্ত গেইটবারের ব্যবস্থা করা।
২. রেলক্রসিংয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার করা।
৩. জনবল সংকট নিরসন করে রেলপথ ব্যবস্থাপনায় সুশাসন নিশ্চিত করা।
৪. সড়ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমে প্রচারণা চালানো।