নাইজেরিয়ায় অব্যবহৃত এক মিলিয়নেরও বেশি কোভিড ভ্যাকসিন মেয়াদ উত্তীর্ণ অবস্থায় পাওয়া গেছে । রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপ থেকে আসা ভ্যাকসিনগুলোর সবই ছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকার।
গোভি ভ্যাকসিন এলায়েন্স ও বিশ্বসংস্থা কোভ্যাক্সের মাধ্যমে এ ভ্যাকসিন সেখানে পাঠানো হয়েছিল বলে জানায় রয়টার্স।
সাউথ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ধরন মোকাবেলায় ভ্যাকসিনের বিকল্প নেই বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অথচ ২০০ মিলিয়ন জনসংখ্যা নিয়ে নাইজেরিয়া বিশ্বের জনবহুল দেশগুলোর অন্যতম। সংস্থাটির হিসেবে প্রাপ্ত বয়স্ক জনসংখ্যার বিচারে মাত্র ৪ শতাংশ জনগণ ভ্যাকসিনের পরিপূর্ণ ডোজ পেয়েছে।
রয়টার্স জানায়, কিছু ডোজ মেয়াদ উত্তীর্ণের ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে এসে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের যথাযথ প্রচেষ্টা স্বত্ত্বেও সময়মতো এ ভ্যাকসিনগুলো পাওয়া যায়নি। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ ভ্যাকসিনের প্রকৃত সংখ্যা জানা যায়নি।
নাইজেরিয়া সম্ভাব্য সকল কিছুই করার চেষ্টা করছে কিন্তু বর্তমানে দেশটি ভ্যাকসিন সল্পতায় পড়েছে।
ন্যাশনাল প্রাইমারি হেলথ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সীর একজন মুখপাত্র জড়িত সংস্থাকে দায়ী করে জানায়, ভ্যাকসিনগুলোর মধ্যে কতগুলো ব্যবহৃত হয়েছে তার তা এখনো হিসাব করা হচ্ছে। পরবর্তীতে জানানো হবে।
মেয়াদ উত্তীর্ণের বিষয়টি বিশ্ব সংস্থা স্বীকার করলেও তারা প্রকৃত সংখ্যা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, অতিরিক্ত ৮ লাখ ডোজের মেয়াদ অক্টোবর পর্যন্ত থাকলেও তা উল্লেখিত সময়ের আগে ব্যবহার করে শেষ করা হয়।
রয়টার্সের প্রশ্নের জবাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, কোভিডের মতো সংক্রামক রোগের প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমের ভ্যাকসিন নষ্ট হওয়ার প্রবণতা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। কেননা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা খুবই স্বল্প মেয়াদী। এটিকেই তারা সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন।
করোনা পরিস্থিতিতে নাইজেরিয়ায় ভ্যাকসিনের মেয়াদ উত্তীর্ণের বিষয়টিকে অন্যতম ক্ষতিকর একটি ঘটনা বলছে রয়টার্স।
গত জানুয়ারিতে ব্রিটিশ কর্মকর্তারা অনুমান করেন যে পৃথিবীতে উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ১০ শতাংশই নষ্ট হবে।
অন্যদিকে ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক হিসাবে দেখা যায়, চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২৫%, মর্ডানার ২০% ও ফাইজারের ৭% ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে।