‘আমায় নহে গো, ভালোবাসো শুধু ভালোবাসো মোর গান’… গানটি শুনিয়ে বললেন, ‘জানি শ্রোতারা আমাকে ভালোবাসেন’। একজন সঙ্গীত শিল্পীকে গানের মাধ্যমেই শ্রোতাদের মনে ঠাঁই করে নিতে হয়। তাহলেই শ্রোতারা শিল্পীকে মনে রাখেন।
‘লাইলী তোমার এসেছে ফিরিয়া মজনু গো আঁখি খোলো’… বহুবার শোনা এই গানটির শিল্পী নজরুল সঙ্গীতের সুপরিচিত কণ্ঠস্বর শবনম মুশতারী। চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বললেন গান, নজরুল আর নতুন প্রজন্মের সঙ্গীতাঙ্গন নিয়ে।
একটা সময় ছিলো যখন নজরুলগীতির অনুষ্ঠানে আপনাকে দেখা যেতো নিয়মিত শিল্পী হিসেবে। তবে বেশ কিছুদিন হলো আপনার উপস্থিতি যেনো কম মনে হচ্ছে…
এমন প্রশ্নের জবাবে স্মিত হেসে গুণী এই নজরুল-শিল্পী যেনো কী এক অভিমান চেপে গেলেন। বললেন, হয়তো গণমাধ্যম আর আমি এই দু’জনের এক হওয়া হচ্ছে না। তবে দু’দিক মিললেই চলে আসি। এই যেমন আসছি আগামী ১২ জুন চ্যানেল আই-তে ‘গানে গানে সকাল শুরু’ অনুষ্ঠানে।
নতুন প্রজন্মের গান ও নজরুলগীতির চর্চা নিয়ে বললেন, সবার আগে প্রয়োজন গান ভালোবেসে গাওয়া। সঙ্গীত চর্চা হলো অধ্যবসায়ের বিষয়। নিয়মিত অনুশীলন প্রয়োজন। চট জলদি সঙ্গীত শিল্পী হওয়া যায় না।
‘সঙ্গীত চর্চার জন্য অনুকূল পরিবেশ দরকার, প্রয়োজন পরিবারের সমর্থন-সহায়তা। নিয়মিত সাধনায় অর্জিত হয় সুর-লয়ের বিদ্যা।’
এ সময় নিজের সঙ্গীত সাধনার কিছুটা বলেন তিনি, ‘সকালে নামাজ পড়তাম, গানের রেওয়াজ করতাম, বাবা-মা ভোরে ঘুম থেকে তুলে দিতেন’।
গানের জন্য পরিবারের সদিচ্ছাকেই ভিত্তি বলে মনে করেন শবনম মুশতারী। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম এখন নানা প্রলোভনে অধ্যবসায়ী হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। এ জন্যই মান সম্পন্ন শিল্পীও আসছে না।
সংক্ষেপে শবনম মুশতারী
নজরুলের গানের অন্যতম সেরা শিল্পীর নাম শবনম মুশতারী। জন্ম ২৫ অক্টোবর। ডাক নাম রাকা। নিজস্ব গায়কী দিয়ে মুগ্ধ করেছেন অসংখ্য শ্রোতা-ভক্তকে। নজরুল-রবীন্দ্র ছাড়াও গজল, ঠুমরি, খেয়াল গেয়েছেন কণ্ঠের মায়াবতী। পৃথিবীর ১৯ টি’রও বেশি দেশে নজরুল আর বাংলার গান গেয়েছেন তিনি। শুধু নজরুল গাওয়া নয়, নজরুল গীতি নিয়ে লিখেছেনও তিনি। সঙ্গীতাঙ্গনে অবদানের জন্য ১৯৯৭ সালে পেয়েছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক।