৯৮ টি ফুটবল মাঠের সমান বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর বেইজিংয়ের ড্যাকসিং ইন্টারন্যাশনাল উদ্বোধন করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ।
পুরো বিশ্বকে তাক লাগানোর মতো প্রযুক্তির উৎকর্ষতা ছড়িয়ে দিচ্ছে চীন। চোখ ধাঁধানো বিমানবন্দরটি বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়েছে। চীনের ৭০ তম বার্ষিকী উদযাপনের কয়েকদিন আগেই বিশ্বকে এমন চমকে দিলো চীন।
চায়না ডেইলির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরটি ৭০০ হাজার মিটার অথবা ৯৮ টি ফুটবল মাঠের সমান।
বিমানবন্দর কাউন্সিল জানিয়েছে, বেইজিংয়ের বিদ্যমান বিমানবন্দর বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যস্ততম স্থান।
তবে কর্মকর্তারা বলছেন, উপচে পড়া ভীড় সামলানোর জন্য বেইজিং ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরের চাপ সামলানোর জন্য একটি নতুন বিমানবন্দর দরকার ছিল।
১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত বিমানবন্দরটি নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে। এই বিমানবন্দরের সার্বিক কাঠামো ডিজাইন করেন ইরাকি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ স্থপতি জাহা হাদীদ।
ফিনিক্সের আকারে তৈরি ভবনটি ২০২১ সাল থেকে বছরে ১০০ মিলিয়ন যাত্রীকে সেবা দেবে। সারা বিশ্বের মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ব্যস্ততম বিমানবন্দর হচ্ছে আটলান্টার হার্টসফিল্ড জ্যাকসন ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দর । ধারণা করা হচ্ছে এই ড্যাকসিং বিমানবন্দর আগামী বছর নাগাদ হয়ে উঠবে বিশ্বের ব্যস্ততম একটি বিমানবন্দর।
ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরের পর এই বিমানবন্দরটি হতে যাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম টার্মিনালের বিমানবন্দর। ড্যাকসিং বিমানবন্দর থেকে প্রতি ঘন্টায় ৩০০টি বিমান ছেড়ে যেতে কিংবা অবতরণ করতে পারবে।
৪টি সুবিশাল রানওয়ে রাখা হয়েছে যাতে বড় ফ্লাইটগুলো এখান থেকে ছেড়ে যেতে পারে। তিয়েনজিনের সিভিল এভিয়েশন ইউনিভার্সিটির এয়ারপোর্ট ইকোনমিকসের অধ্যাপক কও ইয়ঞ্চুন বলেন, “নতুন এই বিমানবন্দরটি ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের জনগণের প্রাত্যহিক যাওয়া আসা, বাইরের দেশ ভ্রমণ, বিভিন্ন পণ্য আমদানি রপ্তানি, পুঁজি এবং প্রযুক্তির প্রবাহের কেন্দ্রস্থল হবে।”
নতুন বিমানবন্দর ২৮ টি শহর থেকে যাত্রীদের সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যারা হাই-স্পিড রেলের মাধ্যমে তিন ঘণ্টার মধ্যে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন। শহরের সাবওয়ের সাথে বিমানবন্দরের সংযোগ থাকবে যাতে যাত্রীরা সহজে ও দ্রুত এখানে পৌঁছাতে পারেন।
বলা হচ্ছে, এই বিমানবন্দরের ৪টি রানওয়ে এবং ৬টি অপারেটিং রানওয়ে ২০২৫ সাল নাগাদ ১০০ মিলিয়ন যাত্রী এবং ৪ মিলিয়ন টন পণ্যসামগ্রী পরিবহন করতে পারবে।
প্রকল্প পরিচালক লি জিয়াহুয়া বলেন, ‘আমরা এই বিমানবন্দরের নির্মাণকাজের জন্য বাইরে থেকে কোন কাঁচামাল নিয়ে আসিনি, নির্মাণের জন্য বেশিরভাগ সরঞ্জামই চীনেই তৈরি করা হয়েছে।’