চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

৯৮’র পর সর্বোচ্চ ফাউলের শিকার নেইমার

ড্রয়ের ম্যাচেও বিশ্বরেকর্ড গড়তে যাচ্ছিলেন ব্রাজিলের পিএসজি সেনসেশন নেইমার জুনিয়র। তবে সেটা নিজস্ব কারিশমায় নয়, প্রতিপক্ষের মারমুখি ক্রীড়া কৌশলের কারণে। গতরাতে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রাজিলের ১-১ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচে ১০বার ফাউলের শিকার হন সেলেসাওদের প্রাণভোমরা।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং ৯৮’র পর যেকোনও বিশ্ব আয়োজনে সর্বোচ্চ ফাউলের টার্গেট নেইমার। এর আগে, ইংলিশ ফুটবলার অ্যালেন শেরির এক ম্যাচে ১১বার ফাউলের শিকার হয়েছিলেন। সব মিলিয়ে সুইসদের কৌশল এখন সমালোচনার মুখে।

এমনকি, ম্যাচ শেষে নেইমারের দাবি: স্টিভেন জুবে কর্নার থেকে হেডে গোল করার আগে মিরিন্ডাকে ফাউল করেছিলেন। তাই এসব বিষয়গুলোকে সামনে এনে পরের ম্যাচগুলোতে খেলোয়াড়দের আরও বেশি সুরক্ষার দাবি করেছেন এই সেলেসাও।

নেইমার বলেছেন, ‘আমার মনে হয়েছে এটা ফাউল ছিলো। গোলের পর সবাই যখন উৎসব করছিলো, আমি রিপ্লে দেখছিলাম। এটা অবশ্য আমার বলার বিষয় নয়। এটা দেখার জন্য চারজন পেশাদার রেফারি ছিলেন। তাদের কাজটা তাদের করতে হবে।’

সুইসদের বিপক্ষে ড্র কোনওভাবেই প্রত্যাশিত ছিলো না বলেও মন্তব্য করেন নেইমার। বলেন, ‘এ ম্যাচে কোনওভাবেই ড্র প্রত্যাশিত ছিলো না। তারপরও আমাদের আরও ভালো খেলার সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু এটা এমন একটা ম্যাচ ছিলো, যেখানে আমার সবটা প্রদর্শন কঠিন ছিলো।’

উল্লেখ্য, ম্যাচের ৫০তম মিনিটে জারদান শাকিরির নেয়া কর্নারে লাফিয়ে নিখুঁত হেডে ব্রাজিলের জাল খুঁজে নেন ২৬ বছর বয়সী মিডফিল্ডার স্টিভেন জুবে। অবশ্য তার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেন্টার-ব্যাক মিরান্ডা। তাকে পেছন থেকে দু’হাতে পুশ করার কারণেই জায়গা পেয়ে যান জুবে। এখানেই ফাউলের দাবি ব্রাজিলের।