বাংলাদেশের স্বাধীনতার সনদ বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। সেই ব্যাখ্যা দিয়ে ভাষণের ২৬টি সুনির্দিষ্ট বক্তব্য নিয়ে প্রকাশ হয়েছে বিশ্লেষণধর্মী বই ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ: ‘রাজনীতির মহাকাব্য’।
একটি ভাষণ বদলে দিয়েছিলো একটি জাতির ইতিহাস। মুক্তিকামী বাঙ্গালীকে এনে দিয়েছিলো স্বাধীনতার লাল সূর্য। সেই ভাষণ নিয়ে প্রায় পাঁচ দশক ধরে গবেষণা চলছে। এরকম একটি উদ্যোগে ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে ২২২ পৃষ্ঠার বইটির মুখবন্ধ লিখেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু তার বক্তব্যের শুরুতে কিভাবে বাঙ্গালীর অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে দৃঢ অঙ্গীকার জানিয়েছিলেন তার বিশ্লেষণ দিয়ে শুরু। এরপর বাঙ্গালীর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক মুক্তির প্রয়োজনীয়তা, রক্তে রঞ্জিত রাজপথের ইতিহাস, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাঙ্গালীর বঞ্চনা, পুরো জাতির দায়িত্ব বঙ্গবন্ধুর নিজের কাঁধে তুলে নেওয়া, ভুট্টোর হুমকি উপেক্ষা করে পশ্চিম পাকিস্তানের গণপরিষদ সদস্যদের পূর্ব বাংলায় এসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি আস্থা ঘোষণা, ন্যায়ের প্রতি অবিচল থাকা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব, দেশপ্রেম আর জনগণের প্রতি আস্থা, ১লা মার্চ থেকেই বঙ্গবন্ধুর সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনসহ আত্মমর্যাদা এবং অধিকারের দাবির ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
একে একে ব্যাখ্যা করা হয়েছে কিভাবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনের ঘোষণা দিলেন সেই কথা, ৭ই মার্চের ভাষণের পটভূমি, বাঙ্গালীর রাজনৈতিক ইতিহাসে অনিবার্য এক বাঁক বদলের ইঙ্গিত, জনগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের যৌক্তিকতা, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক নেতৃত্বের বৈধতা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদের দায়মুক্তির শর্ত।
প্রতিটি ঘরকে কেন দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে? তার অনুপস্থিতিতে স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনায় কী নির্দেশনা? সবই ছিলো ওই ভাষণে। বাঙ্গালী-অবাঙ্গালী আর সব ধর্ম-বর্ণের ৭ কোটি মানুষের ঐক্যের শক্তি, দেশ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত আত্মত্যাগের অঙ্গীকার এবং প্রথমে বাঙ্গালীর মুক্তি এবং পরে স্বাধীনতার যে বাক্যগুলো তিনি বলেছিলেন তার বিস্তারিত বিশ্লেষণ উঠে এসেছে। অসাম্প্রদায়িক স্লোগান হিসেবে কিভাবে জয় বাংলাকে বঙ্গবন্ধু সবার উপরে তুলে ধরেছিলেন সেই বিশ্লেষণও এসেছে শেষ ধাপে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ প্রকাশিত বইটির প্রধান সম্পাদক শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং সম্পাদক অজিত কুমার সরকার। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের পুরো ভাষণটি বাংলা এবং ইংরেজি, দু‘ ভাষাতেই সন্নিবেশিত আছে রাজনীতির মহাকাব্যে।
আরও দেখুন কাজী ইমদাদের ভিডিও রিপোর্টে: