সিলেটে শিশু রাজন হত্যার আসামি চৌকিদার ময়না মিয়াকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করেছে দুলাল নামে আরো একজনকে। তবে এখনও পলাতক আরেক আসামি আলী হায়দার। মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর জেদ্দায় আটক কামরুলকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
রাজন হত্যা মামলার আসামি মুহিত এবং কামরুলের পর জনগণের সহযোগিতায় পুলিশ গ্রেফতার করে ময়নাকে। আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মুহিতের স্ত্রী, শ্যালক এবং নির্যাতনের প্রত্যক্ষদর্শী দু’জনকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। কুমারগাঁও এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে দুলাল নামে আরো একজনকে।
তবে চার আসামির আরেকজন আলী হায়দারকে দ্রুত গ্রেফতার করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
রাজনের বাড়িতে এখন শুধুই কান্না। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ সেখানে গিয়ে দ্রুত বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন।
পাশাপাশি পুলিশ অভ্যন্তরীণ কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে। দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগে অভিযুক্ত উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশের বিরুদ্ধে রাজনের বাবা শেখ আজিজুর রহমানের অভিযোগ তদন্তে সিলেট মহানগর পুলিশের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।