নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তন, পানি ও সুন্দরবন ব্যবস্থাপনা, পোশাক ও শিক্ষা-গবেষণাসহ গুরুত্বপূর্ণ এই ৬ খাতে ২০ কোটি বা ২শ মিলিয়ন ইউরো ঋণ ও অনুদান দিচ্ছে জার্মান সরকার।
বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১ হাজার ৮শ’ ৪৬ কোটি টাকার বেশি। ২০ কোটি ইউরোর মধ্যে স্বল্প সুদে ১৭ দশমিক ২ কোটি ঋণ ও ২ দশমিক ৮ কোটি অনুদান হিসাবে দেয়া হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই হয়। এতে সই করেন বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং জার্মানির পক্ষে দেশটির বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এইচ ই পিটার ফাহরেনহোল্টজ।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জ্বালানি সক্ষমতায় ১৫ দশমিক ৬ কোটি, শহর অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ২ দশমিক ৬ কোটি, টেক্সটাইল খাতে ৭৫ লাখ, ঢাকার পানি ব্যবস্থাপনায় ৪৫ লাখ, সুন্দরবন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনায় ৪ লাখ, পাঠ ও গবেষণা খাতে ২ লাখ ইউরো খরচ করা হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইআরডির সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ৬টি খাতে ঋণ ও অনুদান সহায়তা দিয়েছে জার্মান সরকার। এগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে।
তবে কাজগুলো যেন স্বচ্ছতার সঙ্গে করি, সেদিকে নজর দিতে হবে। যাতে কোনো ধরনের অনিয়ম না হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখা হবে ।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জার্মানি আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। আগামীতেও তারা আমাদের সঙ্গে থাকবে।
এ সময় জার্মানির রাষ্ট্রদূত এইচ ই পিটার ফাহরেনহোল্টজ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। এ দেশের অনেকে আমাদের দেশে পড়াশোনা করছেন এবং বিভিন্ন খাতে কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাতে আমাদের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। আমরা চাই, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতকে সমৃদ্ধ করতে এবং সেই সঙ্গে প্রকৃতিকেও রক্ষা করতে চাই।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইআরডির এবং বাংলাদেশের জার্মান দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।