দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ৪২২তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৬৫ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৬৪৪ জনে।
করোনায় গত ১৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যু হয়। গতকাল রোববার ৬৯ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ১৯ হাজার ৪৩১টি নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৭৩৯ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৪০ লাখ ৬৮ হাজার ২৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ১৪৫টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৫ লাখ ১৮ হাজার ৪১০টি নমুনা।
এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮২ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৮৩৪ জনসহ মোট ৬ লাখ ৯১ হাজার ১৬২ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৫০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৬৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৪২ জন পুরুষ ও ২৩ জন নারী। তাদের ৪৫ জনের সরকারি হাসপাতালে, ১৫ জনের বেসরকারি হাসপাতালে ও ৫ জনের বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ১১ হাজার ৬৪৪। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৪৭৬ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭২ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং ৩ হাজার ১৬৮ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৭ দশমিক ২১ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৬৫ জনের মধ্যে দশ বছরের মধ্যে ১ জন, বিশোর্ধ্ব ২ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ৩ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৮ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৫ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৩৬ জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৩২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ জন, খুলনা বিভাগে ৪ জন, বরিশাল বিভাগে ২ জন, সিলেট বিভাগে ৬ জন ও রংপুর বিভাগে ২ জন।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৫ কোটি ৩৫ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৩২ লাখ ১৭ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৩ কোটি ৯ লাখের বেশি।