আগামী ২৭ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হবে। ১৯৫৭ সালে ইকবাল হল নামে যাত্রা শুরু হয় গৌরবদীপ্ত মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকা এই হলটির। দীর্ঘ ৬০ বছর পর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এই সংগঠনের শুভ সূচনা হয় গত বছরের ২৯ জুলাই।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদকে আহ্বায়ক ও যুবলীগ নেতা ইকবাল মাহমুদ বাবলুকে সদস্য সচিব করে আহ্বায়ক কমিটির গঠনের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের যাত্রা শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ফ্লোরে জহুরুল হক হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠনের লক্ষ্যে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা দেন সভার সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার। ওইদিনই সংগঠনের আহ্বায়ক বেনজীর আহমেদ জাকজমকপূর্ণ পুনর্মিলনী আয়োজনের ঘোষণা দেন।
পরে তার সভাপতিত্বে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির এক বৈঠকে ২৭ জানুয়ারি পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বর্তমান সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, সচিব, উপ-সচিব, প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ ইতোমধ্যেই এই আয়োজনে যুক্ত হয়েছেন।
হলের লাইব্রেরিতে শুক্রবার ও শনিবারসহ প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পুনর্মিলনীর রেজিস্ট্রেশনের ফরম বিতরণ চলছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফরম নেয়ার সুযোগ রয়েছে। টেলিভিশনের স্ক্রলে দেয়া ঘোষণা দেখে দেশের নানা জেলা থেকে ফরম সংগ্রহ করছেন হলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
সংগঠনের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব জানান, প্রথম পুনর্মিলনী উপলক্ষে সবার মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়েছে। ফেলে আসা দিনগুলোর পুরনো স্মৃতি রোমন্থনের লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্বরা অ্যালামনাইয়ে যুক্ত হচ্ছেন। দেশের বাইরে থাকা জহুরুল হক হলের সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যেও অ্যালামনাইয়ের সদস্য হওয়ার ব্যাপারে উৎসাহের কমতি নেই বলে জানান তারা।
তারা আশা করছেন ২৭ জানুয়ারি জহুরুল হক হলের প্রাক্তনদের মিলনমেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মুখরিত হয়ে উঠবে। স্বাধীনতার আগে ও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের প্রবীণদের সঙ্গে গত কয়েক দশকের ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের পরিচিতির মাধ্যমে ২৭ জানুয়ারি একটি অভিন্ন পরিবারে মেতে উঠবে কালের সাক্ষী হয়ে ওঠা হলটির গর্বিত শিক্ষার্থীরা।