২৬০০ সালের মধ্যে পৃথিবী আগুনের একটি জ্বলন্ত বল হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বখ্যাত ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। আগামী ৬০০ বছরের মধ্যে পৃথিবীতে মানুষের বিলুপ্তি ঘটবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন এই প্রফেসর।
বেইজিং অনুষ্ঠিত টেনসেন্ট ওয়েব সামিটে এক ভিডিও কনফারেন্সে এই আশঙ্কার কথা জানান।
দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জ্বালানি ও বৈদুতিক চাহিদা বৃদ্ধি আমাদের এই মহাবিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। মানুষের বিলুপ্তি ঠেকাতে তিনি সর্তক করে বলেছেন: মানুষকে এই গ্রহ ত্যাগ করে অন্য কোন গ্রহে স্থানান্তরের বিষয়ে চিন্তা করতে হবে। এই মহাবিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে মানুষের বসবাসের জন্য পরবর্তি সবচেয়ে ভালো জায়গা আমাদের প্রতিবেশী আলফা সেন্টোরিকে বেছে নেয়ার কথা বলেছেন তিনি।
আলফা সেন্টোরি পৃথিবী থেকে দূরত্ব ২৫ ট্রিলিয়ন মাইল বা ৪.৩৭ আলোক বর্ষ দূর। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে দ্রুতগামী মহাকাশযান দিয়ে সেখানে যেতে সময় লাগবে ৩০ হাজার বছর।
এসময় কমাতে হকিং একটি স্টারশট প্রোজেক্ট -এ ‘ন্যানোক্রাফট’ নামক একটি যান তৈরীর কথা। এই ন্যানোক্রাফট দিয়ে আলফা সেন্টোরিতে পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র ২০ বছর এবং আশ্চর্য়ের বিষয় এই ন্যানোক্রাফট দিয়ে মঙ্গল গ্রহে পৌঁছাতে সময় লাগবে এক ঘন্টার কম। প্লেটোতে পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র একদিন।
এর আগেও একাধিকবার এমন হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। লিসবনে ৬০ হাজার দর্শকের সামনে তিনি বলেছিলেন: কিছু দিনের মধ্যেই এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও বিকল্প উপনিবেশ গড়তে না পারলে ধ্বংস হয়ে যাবে মানুষ। তখন ধ্বংসের দূত হিসেবে চিহ্নিত করছিলেন, যন্ত্রের কৃত্রিম বুদ্ধি তথা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)-কে।
এই ক্ষেত্রটিতে উন্নতি হচ্ছে দ্রুত। পরিবেশ-পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে কম্পিউটারই সিদ্ধান্ত নিতে ও কাজ করতে শিখছে। এই উন্নতির বিরোধী নন হকিং।
তিনি বলেন: ‘কৃত্রিম বুদ্ধি সৃষ্টির লাভ বিপুল। আমাদের ভাবনাচিন্তাকে এআই দিয়ে যখন বহুগুণ বাড়িয়ে তোলা যাবে, কল্পনাও করতে পারি না, কোথায় গিয়ে পৌঁছব আমরা। হয় এটা মানুষের সেরা উদ্ভাবন, নয়তো সব চেয়ে খারাপ।’