চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

৫৭ শিক্ষার্থীর শিক্ষায় বাধা কাটল

উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজে ৫৭ শিক্ষার্থীকে এক মাসের জন্য ভর্তি পরবর্তী শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে হাইকোর্টের দেয়া রুলসহ আদেশ নিস্পত্তি করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

বুধবার এই আদেশের ফলে ৫৭ শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণে বাধা কাটলো বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে আদালত রিটকারির ছেলেকে (ভর্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থী) আগামি সাত দিনের মধ্যে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা গ্রহণে ডিজি হেলথের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।

আপিল বিভাগে এই রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিনউদ্দীন। আর মেডিকেল কলেজের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস।

এর আগে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজে ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া ৫৭ শিক্ষার্থীকে এক মাসের জন্য ভর্তি পরবর্তী শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৯ জানুয়ারি রুলসহ এ আদেশ দেন।

রুলে সরকারি নীতিমালা অনুসরণ না করে ৫৭ জনের ভর্তি প্রক্রিয়া কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে ১০ দিনের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

এর আগে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর ‘উত্তরা মেডিকেলে ভর্তিতে মেধাতালিকাকে উপেক্ষা’ শিরোনামে একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সে প্রতিবেদন যুক্ত করে চলতি শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষে কলেজে ভর্তিতে অনিয়ম ও সরকারি নীতিমালা অনুসরণ না করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই কলেজে ভর্তিবঞ্চিত এক প্রার্থীর অভিভাবক ২ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন।

রিটের পক্ষে হাইকোর্টে শুনানি করা আইনজীবী রেজিনা মাহমুদ ৯ জানুয়ারি জানান, মেডিকেলে ভর্তি সংক্রান্ত ২০১৭ সালের ২০ আগস্টের সরকারি নীতিমালা অনুসরণ না করে আগে এলে আগে পাবেন এর ভিত্তিতে গত ১৭ ডিসেম্বর ওই ৫৭ জন শিক্ষার্থীকে চলতি শিক্ষাবর্ষে (২০১৭-১৮) প্রথম বর্ষে ভর্তি করা হয়। অথচ সরকারি নীতিমালায় আছে মেধাতালিকার ক্রম অনুসরণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। ফলে রিট আবেদনকারীর সন্তান তারিকুল ইসলাম ভর্তি বঞ্চিত হন। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হলে হাইকোর্ট আদেশ দেন।

তবে ওইদিন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, ২০১৪ সাল থেকে বিগত বছরগুলোতে কলেজটিতে ভর্তিতে কোটা পূরণ হতো না। সে জন্য গত ১৪ ডিসেম্বর আগে এলে আগে পাবেন বলে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তালিকায় থাকা ওই ৫৭ জন শিক্ষার্থী সাধারণ কোটায় ভর্তি হন ও কোটা পূরণ করা হয়।