চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

৫৭ ধারা বাতিল চেয়ে আরেকটি রিট খারিজ

আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পল্লবীর বাসিন্দা জাকির হোসেনের করা রিট পর্যবেক্ষণ দিয়ে খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই আদেশ দেয়।

আদালতে আবেদনকারীপক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ইমরান এ সিদ্দিক ও শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল অমিত তালুকদার। তাদের সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যার্টনি জেনারেল নুসরাত জাহান।

গতকাল মঙ্গলবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর সংশোধনী ২০১৩’র ৫৭ ধারাকে কেনো অসাংবিধানিক ও বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে সরকারের প্রতি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ৪ সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র, আইন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের জবাব দিতে বলেছেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আইসিটি আইনের ৫৭’র ১ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করার কারণে যদি কারও মানহানি, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানী প্রদান করা হয়, তা হবে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

এ আইনের অধীনে কোনো অপরাধ করলে অনধিক চৌদ্দ বছর এবং কমপক্ষে সাত বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। অপরাধ আমলে নেওয়ার আগ পর্যন্ত জামিন নেওয়ারও সুযোগ নেই। এ অবস্থায় আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ৩০ আগস্ট রিট দায়ের করেন ১১ জন শিক্ষক এবং লেখক।