চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

৫৪ ধারা ও রিমান্ড নিয়ে আপিলের রায় ২৪ মে

পরোয়ানা ছাড়া ৫৪ ধারায় কাউকে গ্রেফতার ও রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি শেষ। ২৪ মে রায় দেবেন আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা দেওয়ার পরও পালন না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছে সর্বোচ্চ আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে আদালত যেন বাস্তবতার বিবেচনায় নির্দেশনা দেন।

১৯৯৮ সালে ডিবি পুলিশ সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রুবেলকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে এবং পরে পুলিশ হেফাজতে মারা যায়  রুবেল। এই ঘটনায় কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন রিট করলে ২০০৩ সালে রায় দেন হাইকোর্ট। এতে ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রচলিত বিধান সংশোধন করতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সংশোধনের আগে কয়েক দফা নির্দেশনা মেনে চলার কথা বলা হয়।

রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে, আপিল করার অনুমতি দেওয়া হয় ২০০৪ সালে। শুনানিতে আবেদনকারী ও রাষ্ট্রপক্ষ নিজ নিজ বক্তব্য তুলে ধরেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, অপপ্রয়োগের ব্যাপারে আদালত যদি কোন রকম নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয় সেটা ঠিক আছে। কিন্তু আদালত আইন সংশোধনের জন্য ছক করে দিয়ে কোন রকম অর্ডার দিতে পারেন না।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা বলেন, এই ৫৪ ধারা বা পুলিশ কাস্টডি বা রিমান্ডের বিষয়ে যে সমস্ত রেকমেন্ডেশন দিয়েছে এবং সেই সমস্ত রেকমেন্ডেশনকে আমরা বলেছি বাংলাদেশের আর্থিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটের আলোকে বিচার করে দেখতে হবে।

শুনানিতে আপিল বিভাগ আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সাদা পোশাকে গ্রেফতার করা, আসামীর শরীরে কাগজের মাধ্যমে লিখে হাজির করা, ফৌজদারী কার্যবিধি সংশোধন কেন হচ্ছে না, মামলা দায়েরে ত্রুটি থাকা নিয়ে মন্তব্য করেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, গ্রেপ্তার করার পরে পুলিশ কি করবে? পুলিশ আসামীকে মেজিস্ট্রেটের আদালতে নিয়ে যাওয়ার আগে কি করবে? ইত্যাদি কতগুলো বিস্তারিত নির্দেশনা ছিলো। ওনারা বলছেন এই নির্দেশনাগুলো এখনও ঠিকমতো পালন করা হচ্ছে না।

তবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন বর্তমানে জঙ্গীবাদসহ নানা সমস্যার মধ্যে আসামীদের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা পালন করা সম্ভব কিনা তাও দেখতে হবে।