চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

৫২টি ভেজাল খাদ্যপণ্য প্রত্যাহার-জব্দ চেয়ে রিট

বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এর পরীক্ষায় প্রমাণিত ৫২টি ভেজাল বা নিম্নমানের খাদ্যপণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার ও জব্দ চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে।

এছাড়া রিটে ওই ৫২টি পণ্যের গুনগত মান ঠিক না হওয়া পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে বৃহস্পতিবার এ রিট শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব,শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)-এর মহাপরিচালক (ডিজি), বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে কনসাস কনজ্যুমার সোসাইটির পক্ষ থেকে উপরোক্ত বিবাদীদের একটি লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। ওই নোটিশে বলা হয়: ‘বিএসটিআই সম্প্রতি ২৭ ধরণের ৪০৬টি খাদ্য পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছে। এর মধ্যে ৩১৩টি পণ্যের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। যেখানে ৫২টি পণ্য নিম্নমানের ও ভেজাল বলে উল্লেখ করে বিএসটিআই বলে, এসব খাদ্য পণ্য মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ। এসব খাদ্য গ্রহণের ফলে কিডনি, লিভার আক্রান্তের পাশাপাশি মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারে।’

যে ৫২ টি পণ্যকে নিম্নমানের ও ভেজাল বলে বিএসটিআই উল্লেখ করে সেগুলো হলো- গ্রীণ ব্লিচিং এর সরিষার তেল, শমনমের সরিষার তেল, বাংলাদেশ এডিবল ওয়েলের সরিষার তেল, সিটি অয়েলের সরিষার তেল, কাশেম ফুডের চিপস, আরা ফুডের ড্রিংকিং ওয়াটার, আল সাফির ড্রিংকিং ওয়াটার, মিজান ড্রিংকিং ওয়াটার, মর্ণ ডিউয়ের ড্রিংকিং ওয়াটার, ডানকান ন্যাচারাল মিনারেল ওয়াটার, আরার ডিউ ড্রিংকিং ওয়াটার, দিঘী ড্রিংকিং ওয়াটার, প্রাণের লাচ্ছা সেমাই, ডুডলি নুডলস, শান্ত ফুডের সফট ড্রিংক পাউডার, জাহাঙ্গীর ফুড সফট ড্রিংক পাউডার, ড্যানিশের হলুদের গুড়া, প্রাণের হলুদ গুড়া, ফ্রেশের হলুদ গুড়া, এসিআইর ধনিয়ার গুড়া, প্রাণের কারি পাউডার, ড্যানিশের কারী পাউডার, বনলতার ঘি, পিওর হাটহাজারী মরিচ গুড়া, মিস্টিমেলা লাচ্ছা সেমাই, মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, মিঠাইর লাচ্ছা সেমাই, ওয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাই, এসিআইর আয়োডিন যুক্ত লবন, মোল্লা সল্টের আয়োডিন যুক্ত লবন, কিং’য়ের ময়দা, রুপসার দই, মক্কার চানাচুর, মেহেদীর বিস্কুট, বাঘাবাড়ীর স্পেশাল ঘি, নিশিতা ফুডস এর সুজি, মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, মঞ্জিলের হলুদ গুড়া, মধুমতির আয়োডিন যুক্ত লবন, সান ফুডের হলুদ গুড়া, গ্রীন লেনের মধু, কিরনের লাচ্ছা সেমাই, ডলফিনের মরিচের গুড়া, ডলফিনের হলুদের গুড়া, সূর্যের মরিচের গুড়া, জেদ্দার লাচ্ছা সেমাই, অমৃতের লাচ্ছা সেমাই, দাদা সুপারের আয়োডিন যুক্ত লবন, মদীনার আয়োডিন যু্ক্ত লবণ, নুরের আয়োডিন যুক্ত লবণ।

এসব পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার বা জব্দের জন্য দেওয়া ২৪ ঘন্টা সময় শেষ হলেও লিগ্যাল নোটিশের জবাব না পেয়ে আজ হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিটটি করে কনসাস কনজ্যুমার সোসাইটি।