প্রায় ৫০০ শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতন করে অবশেষ পুলিশের কাছে ধরা পড়লো ভারতের দিল্লীর এক বাসিন্দা। নানা প্রলোভন দেখিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে হেনস্তা করতো পেশায় দর্জি সুনীল রাস্তোগি।
স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে শিশুদের ধরতো এবং বলত তাদের বাবা একটা জিনিস দিতে পাঠিয়েছে। জিনিস দেয়ার নামে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে চালাতো যৌন নিগ্রহ। এভাবে গত ১২ বছরে দিল্লি, গাজিয়াবাদ, রুদ্রপুরে প্রায় ৫০০ শিশুকন্যার ওপর অত্যাচার চালিয়েছে সে।
গ্রেফতারের পর দর্জিকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে দিল্লির আদালত। পুলিশের কাছে নিজেই যৌন হেনস্থার কথা স্বীকার করেছে পাঁচ সন্তানের বাবা। তাদের মধ্যে ৩টি কন্যা সন্তানও রয়েছে। মেয়েদেরও হেনস্থা করেছে কিনা, তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তরপ্রদেশের রামপুরের বাসিন্দা রাস্তোগি ১৯৯০ সালে দর্জির কাজ করতে দিল্লি আসেন। বাবার সঙ্গে একটি দোকানে কাজ শুরু করে। ২০০৪ সালে প্রতিবেশি এক শিশুকে যৌন নিগ্রহের জন্য দিল্লির ময়ুরবিহার ছাড়তে বাধ্য হয় রাস্তোগি ও তার পরিবার। এর পর উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুরে বসবাস শুরু করে।
২০০৬ সালে আর এক নাবালিকাকে নিগ্রহের জন্য ৬ মাস জেল খাটে। এর পর থেকে সপ্তাহান্তে কাজ খোঁজার নাম করে দিল্লি এসে যৌন নিগ্রহ চালাতে থাকে।
গত ১৩ ডিসেম্বর দিল্লিতে শিশুর যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের হয়। ১০ জানুয়ারি দিল্লির অশোকনগর থানায় ফের ২টি শিশুকে অপহরণ করে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে তিনটি ঘটনার মধ্যে মিল খুঁজে পায় পুলিশ। তার পরই গ্রেফতার হয় রাস্তোগি।