সেন্টমার্টিন ভ্রমণের কথা বলে টেকনাফে নিয়ে ‘মুক্তিপণের দাবিতে’ চার স্কুলছাত্রকে অপহরণের ঘটনায় ৩ রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। তবে অপহৃত চার শিক্ষার্থীকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
আটকরা হলো: টেকনাফের মোচনী পাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের নুর সালাম (৫০), রনজন বিবি (১৩) ও সাদ্দাম মিয়া। তাদের টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল ৩ টার দিকে ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম ৩ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান: বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার ভোররাত সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অপহৃত চারজনকে উদ্ধারে এখনও অভিযান চলছে।
অপহরণের শিকার স্কুলছাত্রদের স্বজনদের বরাতে পরিদর্শক আব্দুল আলিম বলেন: রামুর পেচারদ্বীপের বাসিন্দা ও সোনার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাতিঘর নামের একটি আবাসিক কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও ইব্রাহিমের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সুবাদে গত ৭ ডিসেম্বর সকালে রামুর পেচারদ্বীপ এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহিম স্কুলছাত্রকে সেন্টমার্টিন ভ্রমণের কথা বলে টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দেয়। একপর্যায়ে ওইদিন সকাল ১০টার দিকে স্কুলছাত্রদের টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর থেকে স্কুলছাত্রদের খোঁজ মিলছিল না। এরই মধ্যে বুধবার রাতে নিখোঁজ স্কুলছাত্রদের স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাদের মুক্তিপণ বাবদ ২০ লাখ টাকা দিতে বলে। মুক্তিপণ না দিলে স্কুলছাত্রদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়।
অপহরণের শিকাররা উখিয়া উপজেলার সোনার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তারা হলো: উখিয়া উপজেলার সোনার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র জাহেদুল ইসলাম, অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ কায়সার ও মিজানুল ইসলাম। তাদের সবার বাড়ী রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন পেচারদ্বীপ এলাকায়।
এই অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৬ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে। তারা রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেচারদ্বীপ এলাকায় বাতিঘর নামের একটি আবাসিক কটেজের কর্মচারী।