চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

৪৭ বছর পরে হানিমুনের আংটি

প্রায় অর্ধশতক আগের কথা। ১৯৭০ সাল। ম্যানহাটন কলেজেন এক গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী ম্যাসাচুসেটসের কেপ কোডের বিচে তার হানিমুন উদযাপন করছিলেন। সেই সময়ে হঠাৎ তার হাতে থাকা আংটি খুলে পড়ে এবং পানিতে ভেসে যায়।

অনেক খোঁজাখুজি করেও তখন মেলেনি সেটি। দুঃখের বিষয় ছিলো এই আংটিটি তার স্ত্রীর দেওয়া ছিলো।

এই বছরের জুলাই মাসে কেপ কোড এলাকায় মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে কিছু খুঁজছিলেন জিম ওয়ার্থ। তখনই হঠাৎ সেই সোনার আংটি দেখতে পান তিনি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমি যখন প্রথম সেটা বালু ও পাথরের মধ্যে থেকে বের করলাম তখন সেটা পুরোপুরি কালো ছিলো। সঙ্গে একটা সবুজাভ আবরণ ছিলো।

পরে সেটা বাড়িতে এনে দেখতে পান সেটা ম্যানহাটন কলেজের ১৯৬৯ কলেজ রিং। সেই সঙ্গে একটা নামও লেখা ছিলো আংটিতে, প্যাট্রিক এফ ও’হ্যাগান।

তিনি সিদ্ধান্ত নেন একটু গুগল করার। সেখানে তিনি একটি বই খুঁজে পান যেটার নাম, দি বুক অব কেলস। যেটা ও’হ্যাগানের স্ত্রী ক্রিশ্চেনের লেখা।

ওয়ার্থ সেখানে একটি চ্যাপ্টার পড়ে নিশ্চিত হন যে তিনি সঠিক মানুষকেই খুঁজে পেয়েছেন। অনেক খুঁজে তিনি সেই দম্পতিকে ফোন করেন এবং জানান তিনি আংটিটি খুঁজে পেয়েছেন।

শুনে খুশিতে আপ্লুত হয়ে পড়েন ও’হ্যাগানের স্ত্রী। বলেন, সত্যি আপনি সেটা খুঁজে পেয়েছেন। আমরা এটা অনেক খুঁজেছি! এখন মনে হচ্ছে তরুণ বয়সের কিছু খুঁজে পেয়েছি।

কিছুদিন পরেই তাদের হাতে হানিমুনে হারানো প্রিয় আংটিটি তুলে দেন জিম ওয়ার্থ।