বিনা পয়সায় ক্ষুধার্তদের খাদ্য মিলবে ভারতের চেন্নাইয়ে। যার যা পছন্দ তাই খেতে পারবেন ফ্রিজ থেকে নিয়ে। এমনি এক ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের চেন্নাই রাজ্যর এক চিকিৎসক। সমাজের অতিরিক্ত খাবার কমিউনিটি ফ্রিজে রাখা হবে। সেখান থেকে দুঃস্থরা বিনা পয়সায় খাবার খেতে পারবে।
ভারতের চেন্নাই ইলিয়ট সমুদ্র বন্দরে এই কমিউনিটি রেফ্রিজারেটরের ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছেন ডা. ইসা ফাতেমা জেসমিন।
ক্ষুধার্তরা যাতে বিনা মূল্য খাদ্য পায় তার জন্য মাধ্যমে এই খাদ্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।খাবার নেয়ার জন্য তাদের কাউকে কোন কিছু জিজ্ঞাসা বা আইডি কার্ডের প্রয়োজন হবে না। তবে খাবার সরবারাহ করবে সেখানের বসবাসরত মানুষ। সমাজের উচ্ছিষ্ট খাদ্য তারা এখানে রেখে যাবেন। সেটা বাড়ির কিংবা হোটেলের হতে পারে।
৭২ বছর বয়সী ক্ষুধার্ত জে কুমার বলেন, আমি ফ্রিজ থেকে কিছুক্ষণ আগে কলা এবং ফলের জুস খেলাম। যদি তা না খেতে পারতাম তাহলে রাতে আামাকে এভাবেই না খেয়ে ঘুমাতে হত।এটা আমদের জন্য আর্শীবাদ।
দুপুরের খাবার সময় দেখা যায় কিছু শিশুকে স্যান্ডউইচ, জুস, এমনি কি তাদের বিরানি খেতে দেখা যায়। তারা সবাই এখান থেকেই সংগ্রহ করেছে। অথচ কিছুদিন আগেও এই শিশুদের রাস্তার ডাস্টবিন থেকে খাবার সংগ্রহ করতে দেখা যায়।
অনেক শিক্ষার্থীরা এই উদ্যোগ কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এমন প্রসংশনীয় উদ্যোগকে সামনে আরো বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন। তাদের অনেকে বই, জামা-কাপড়,খেলনা ইত্যাদির জন্য আরেকটা রেকের ব্যবস্থা করেছেন। যার মাধ্যমে তারা তাদের অসাধ্য শখের কিছুটা পূরণ করতে পারবেন।
এবিষয়ে উদ্যোক্তা ডা. ইসা ফাতেমা জেসমিন বলেন, আমাদের দেশের একটা বড় অংশ ঠিক মত খেতে পারে না। আামরা প্রত্যকদিন অর্ধেক খাবার নষ্ট করি। যে খাবারটা আমরা প্রতিদিন নষ্ট করে ডাস্টবিনে ফেলে দেই সেই খাবারটা এই ফ্রিজে রাখার আহ্বান জানিছেন তিনি।
খাবার রাখতে আসা একজন সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার বলেন, আমি বাসার অতিরিক্ত খাবার নিয়ে এসেছি। আমাদের প্রত্যেক ব্লকে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিৎ। তাহালে গরীবরা সরকারের কাছে বোঝা হবে না ।