ডাচ-বাংলা ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তির জন্য এবছর এইচএসসি উত্তীর্ণ ৩ হাজার ৩১ জনকে বৃত্তির জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এই শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর পর্যন্ত শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হবে।
শনিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তি প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, তরুণ প্রজন্মের কেউ যদি তার আদর্শ অনুসরণ করে তাতেই তৃপ্তি পাবেন তিনি। ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি অনুষ্ঠানে বৃত্তি প্রাপ্তদের সত্যিকার আশরাফুল মাখলুকাত হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী। ডাচ-বাংলা ব্যাংক পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মানব সম্পদ উন্নয়নে তাদের এই মহতী উদ্যোগ চলমান থাকবে।
১৯৯৬ সালে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতায় নানা ধরণের কল্যাণমুখী কাজ করে আসছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক। গত ১৮ বছরে ব্যাংকটির শিক্ষাবৃত্তির আওতায় উন্নত জীবন গঠনের সুযোগ পেয়েছে ৫৩ হাজার ৭শ’ ১০ জন শিক্ষার্থী।
ব্যাংকগুলোকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ উন্নয়নে সিএসআরের আওতায় অর্থ বিনিয়োগের আহ্বান জানান বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ।
সরকারের পাশাপাশি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মতো বেসরকারি খাত এগিয়ে আসায় কৃতজ্ঞতা জানান আইনমন্ত্রী। উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের জীবন বদলে উদ্যোগী হবে আশা অর্থমন্ত্রীর।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ উচ্চ শিক্ষা শেষ না করেই বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হচ্ছে, এটা কাম্য নয় বলেছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক পরিবার।