চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

৩ বছরে দেশে এসেছে প্রায় ১২ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য

বাসেল ব্যান অ্যামেন্ডমেন্ট অনুমোদনের দাবী

গত তিন বছরে আনুমানিক ১২ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য দেশে প্রবেশ করেছে। এই ক্ষতিকর বর্জ্যগুলো পরিবেশ তথা জনস্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক ঝুঁকির সৃষ্টি করছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাসেল কনভেনশনের অন্যতম প্রধান শর্তই হলো এই ঝুঁকি হ্রাস করা। তাই জাতীয় আইনে জরুরী ভিত্তিতে বাসেল ব্যান অ্যামেন্ডমেন্টকে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরী দরকার।

সম্প্রতি ধানমন্ডির একটি রেস্তোরাঁয় এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন- এসডো আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই আহ্বান জানান।

এসডো ‘ট্রান্সবাউন্ডারি মুভমেন্ট অফ হ্যাজার্ডাস প্লাস্টিক ওয়েস্ট: বাংলাদেশ সিচুয়েশন ২০২১’ শীর্ষক একটি রিপোর্ট উন্মোচন করে। সেখানে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের উপর প্লাস্টিক বর্জ্য বাণিজ্যের মারাত্মক প্রভাব নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বহু বিশেষজ্ঞরা তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এসডোর মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশ বাসেল কনভেনশনের একটি সাক্ষরকারী দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাসেল ব্যান অ্যামেন্ডমেন্টে সাক্ষর করেনি যা বিশেষভাবে ক্ষতিকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং এর আন্তঃসীমান্ত পরিবহণ নিয়ে কাজ করছে। তাই এই ক্ষতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে বাসেল অ্যামেন্ডমেন্ট গ্রহণ করার এখনই উপযুক্ত সময়।

এসডোর নির্বাহী পরিচালক সিদ্দীকা সুলতানা বাংলাদেশে প্লাস্টিক বর্জ্যের আন্তঃসীমান্ত পরিবহণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি  সরকারের কাছে বাসেল ব্যান অ্যামেন্ডমেন্ট, ইউ এন ই এ রেজোল্যুশন এবং বাংলাদেশ আমদানি নীতি (২০১৫-২০১৮)-এর সমন্বয়ে একটি আইনি কাঠামো বাস্তবায়নের আবেদন জানান।

বাসেল কনভেনশনে উপস্থাপিত বাংলাদেশের জাতীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ বাসেল কনভেনশনের প্রস্তাবিত বিধানসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আইন প্রণয়ন করেছে যা বাংলাদেশে সকল অবৈধ বর্জ্যের পাচার রোধ করবে। বিপজ্জনক এবং জাহাজ ভাঙা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইন-২০১১ অনুযায়ী বর্জ্যের অবৈধ পাচার একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। যদি কোনো অবৈধ বিপজ্জনক বর্জ্য বা অন্য যেকোনো বর্জ্য ধরা পড়ে, তবে ৩০ দিনের মধ্যেই তা রপ্তানিকারী দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এছাড়াও আমদানি নীতি অনুযায়ী বাংলাদেশে সকল প্রকার বর্জ্যের আমদানিই নিষিদ্ধ। তবে বর্জ্যের ট্রানজিটে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। এই ক্ষেত্রে আইনগত নীতি প্রণয়নের জন্য এসডো দাবী জানাচ্ছে।