মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাসদের সাবেক সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদসহ পাঁচ জাসদ নেতা হত্যার ১৭তম বার্ষিকী আজ। ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞের এ ঘটনায় তিন ঘাতককে ফাঁসি দেওয়া হলেও মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ৫ আসামি এখনও ধোরা-ছোঁয়ার বাইরে। সনাক্ত করা যায়নি ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীদের।
কুষ্টিয়া দৌলতপুরের কালিদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় চরমপন্থিদের ব্রাশফায়ারে নিহত হন কাজী আরেফ আহমেদসহ পাঁচ জাসদ নেতা। ৫ বছর পর ২০০৪ সালের ৩০ আগস্ট কুষ্টিয়া জেলা জজ আদালত ১০ জনের ফাঁসি, ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদ- দেন। আসামিদের আপিলে ২০০৮ সালের ৩১ আগস্ট আদালত এক ফাঁসির আসামি এবং যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ১০ জনের সাজা মওকুফ করে রায় দেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে ফাঁসির ২ আসামি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করলে আদালত হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে। পরে ২ আসামির রিভিউ পিটিশন ও রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমার আবেদন খারিজ হয়ে গেলে গত ৭ জানুয়ারি কারাগারে থাকা তিন ঘাতকের রায় কার্যকর করা হয়।যেসব সন্ত্রাসী এখনো আইনের আওতার বাইরে রয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে আটকের দাবি জানান এলাকাবাসী।মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ৯ আসামির মধ্যে তিন জনের রায় কার্যকর এবং একজন কারাগারে মারা গেলেও বাকি ৫ আসামি ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
এ কারণে মামলার সাক্ষী এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যরা উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন।কাজী আরেফের স্বজনদের মতে যতদিন পর্যন্ত খুনিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে ততোদিন তাদের এই উৎকণ্ঠা কাটবে না।কাজী আরেফসহ ৫ জাসদ নেতা হত্যাকাণ্ডে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক ৫ ঘাতককে খুঁজে বের করে সাজা কার্যকরের পাশাপাশি ঘটনার পরিকল্পনাকারীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর দাবি স্বজনদের।