পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ দেখলো পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। কিন্তু এ গ্রহণ সাধারণ কোনো চন্দ্রগ্রহণ নয়। এ গ্রহণ হলো সুপারমুনের গ্রহণ।
১৯৮২ সালের পর এই প্রথম একই সঙ্গে সুপারমুন এবং চন্দ্রগ্রহণ হওয়ার বিরল মহাজাগতিক ঘটনাটি ঘটলো। পৃথিবীর মানুষ আমার এই বিরল ঘটনা প্রত্যক্ষ করবে ২০৩৩ সালে।
চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে সবচেয়ে কাছে যখন চলে আসে তখন পৃথিবী থেকে একে দেখতে অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বড় দেখা যায়। এই পূর্নিমাকে ‘সুপারমুন’ বলা হয়। যদিও এই সংজ্ঞা নিয়ে জোতির্বিদদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে।
আর চন্দ্রগ্রহণ হয় যখন পৃথিবী সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে এসে দাঁড়ায়। ফলে চাঁদের ওপর পৃথিবীর ছায়া পড়ে; সেই ছায়ায় চাঁদকে রক্তাভ লাল দেখায়।
এবারের বিশেষ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ নর্থ আমেরিকা, সাউথ আমেরিকা, এবং আফ্রিকা ও ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চল থেকে দেখা গেছে। নর্থ আমেরিকার পশ্চিমাংশ, ইউরোপ ও আফ্রিকার বাকি অংশ, মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়া থেকে দেখা গেছে আংশিক গ্রহণ।
যুক্তরাজ্যে সোমবার ভোরবেলায় পৃথিবীর ছায়ার নিচে হালকা ঢাকা পড়েছিলো চাঁদ। আর নর্থ ও সাউথ আমেরিকায় গ্রহণ দেখা গেছে রোববার সন্ধ্যায়।
বাংলাদেশ থেকে চন্দ্রগ্রহণ দেখা না গেলেও সুপারমুন দেখা গেছে রোববার। আজকেও সেই বিশাল চাঁদের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে দেশবাসী।