২৬ বছর পর এই প্রথম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টানানো হলো ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিবের নেতৃত্বে নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে তারা ডিআরইউ কার্যলয়ে যাওয়ার পর এই ছবি টানানো হয়।
ডিআরইউয়ের সদস্য যমুনা টেলিভিশনের তাওহীদ মিথুন, বিডিনিউজের কাজী মোবাররক হোসেন, যুগান্তরের হাসিব বাবুসহ কয়েকজন সদস্য ছবিটি নতুন কমিটিকে উপহার দেন।
এ সময় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নব নির্বাচিত কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে ছবিটি টানানোর নির্দেশ দেন।
বঙ্গবন্ধুর ছবি ডিআরইউ কার্যলয়ে টানানোর সময় নব নির্বাচিত সহ-সভাপতি ওসমান গনি বাবুলের নেতৃত্বে নির্বাচিত কয়েকজন তীব্র প্রতিবাদ করেন। প্রতিবাদের সময় এক পর্যায়ে হট্টগোল লেগে যায়।
এ সময় ওসমান গনি বাবুল বলেন, “২৬ বছরে ডিআরইউতে কোন রাজনৈতিক ছবি লাগানো হয় নি, সভাপতি সাহেব আপনি এখনও লাগাতে পারেন না, পারবেন না।”
এ সময় সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, “সাংবিধানিক ভাবে সকল অফিসে বঙ্গবন্ধুর ছবি লাগানো হয়েছে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ডিআরইউ কার্যালয়ে টানানো হয়েছে। বিষয়টিতে রাজনীতি নেই। অনেক আগেই ডিআরইউতে বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানো উচিত ছিলো।”
হট্টগোল বাড়লে ডিআরইউয়ের সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান বলেন, “জাতির পিতার ছবি আমাদের সময়ই লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এই বিষয়ে কারও কোন কথা থাকার কথা নয়। কারণ গত কমিটিতে রেজুলেসন হয়েছিল যেখানে বেশিরভাগ সদস্যই মত দিয়েছিলেন। এটা এজিএমএ ওঠানোর কথাও ছিল। সুতরাং এখানে ছবি লাগানো হবে এটা নিয়ে কোন কথা বলার দরকার নেই।”
ডিআরইউ’র ইতিহাসে আগে কখনো জাতির পিতার ছবি টানানো ছিলো না। বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানোর মধ্য দিয়ে ডিআরইউ নতুনভাবে পথচলা শুরু করবে বলে মনে করছে সদস্যরা।