দোষী না নির্দোষ তা জানার আগেই কারাগারে কেটেছে ২২ বছর। শেষ পর্যন্ত নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় খালাস পেলেন খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের দুই সহযোগী জামাই ফারুক ও ইদ্রিস জামাই।
তাদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।
লালবাগের ব্যবসায়ী আবদুল আজিজ চাকলাদার হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয় ২১ সেপ্টেম্বর। ১৯৯৮ সালের ৫ মার্চ লালবাগ রোডের বাসা থেকে খুলনা যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়েছিলেন আবদুল আজিজ চাকলাদার ওরফে ঢাকাইয়া আজিজ।
আজিজকে খুঁজে না পেয়ে ছোট ভাই মো. বাচ্চু মিয়া লালবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির ১২ দিন পর ১৭ মার্চ বাচ্চু একটি অপহরণ মামলা করেন।
ওই মামলায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয় তারা হলো- খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, লস্কর মোহাম্মদ লিয়াকত, মো. নূরে আলম, ইদ্রিস, জয়নাল, জামাই ফারুক ও মো. রুস্তম আলী।
এর মধ্যে ২০০৪ সালের ১০ মে অন্য একটি মামলায় কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। আসামি লস্কর মো. লিয়াকত বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আসামি নূরে আলমকে রাষ্ট্রপক্ষ রাজসাক্ষী হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করে। তাই বিচারে সোপর্দ করা হয় চারজন আসামিকে।
২০০০ সালেই এই মামলার অভিযোগ গঠন হয়। পরে হাইকোর্ট আদেশে মালাটি দীর্ঘদিন স্থগিত ছিলো। ২০১৭ সালে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ উঠে গেলে আবার এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। গত ১৪ জানুয়ারি উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। অবশেষে ২১ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে ২২ বছর আগের এই হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজ শেষ হলো।