২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার দুই মামলার বিচার এখন শেষ পর্যায়ে। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ, আর মাত্র একজন আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক শেষ হলেই রায়ের তারিখ ঘোষণা করবেন আদালত। আর এর মাধ্যমেই নিস্পত্তি হতে যাচ্ছে ১৪ বছর আগে ঘটে যাওয়া ওই নৃশংসতার বিচারের।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ছিল আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ। ওই সময়ের বিরোধী দলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তৃতার শেষ পর্যায়ে সমাবেশস্থলে শুরু হয় গ্রেনেড হামলা।
ভয়াবহ ওই হামলায় আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ নিহত হন ২৪ জন।
ওই সময় মামলা ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা হলেও ঘটনার প্রকৃত তদন্ত শুরু হয় ওয়ান ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ও হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানসহ সহ ২২ জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৮ সালে আদালতে চার্জশিট দেয় সিআইডি।
বিচার চলাকালীন ২০০৯ সালে আদালতের নির্দেশে মামলার অধিকতর তদন্ত হয়। এতে নতুন করে অভিযুক্ত হন বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক তিন আইজিপি, গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই ও এনএসআইয়ের সাবেক শীর্ষ কর্তাসহ ৩০ জন।
তদন্তের প্রয়োজনে এবং আসামিপক্ষ সব ধরনের আইনি সুযোগ নেয়ায় বিচার বিলম্বিত হয়েছে বলে মনে করে রাষ্ট্রপক্ষ।
আসামিদের মধ্যে লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টু ও গোয়েন্দা সংস্থার দুই শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ২৩ জন কারাগারে আটক। আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মুফতি হান্নান ও শরীফ শাহেদুল আলম বিপুলের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় তাদেরকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।