চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

২০২৪ সাল নাগাদ প্রবৃদ্ধি দুই অংকের হবে: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন: এ বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ১০ শতাংশ স্থির করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সাল নাগাদ প্রবৃদ্ধি দুই অংকে (ডাবল ডিজিট) উন্নীত হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন করে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সংসদ সদস্যসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

শনিবার সংসদে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সমাপনি বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।

বক্তব্যের শুরুতেই তিনি গত ১৩ জুন বাজেট উত্থাপনকালে অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় বাজেটের বাকি অংশ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে উপস্থাপন করায় প্রধান্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তার অসুস্থ্যতার সময় সংসদে তার প্রতি সংসদ সদস্যদের সহানুভূতি প্রকাশের জন্য তিনি তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বাজোট বিশেষ দিক থেকে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও পরামর্শ অনুযায়ী এ বাজেট প্রণনয়ন করা হয়েছে। বাজেটে এবার নতুন নতুন উপাদান সংযোজন করা হয়েছে। বিশেষ করে এবারই প্রথম বাজেটে কোন কর না বাড়িয়ে করের আওতা সম্প্রারণের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, কেবল মাত্র দু’টি খাতে স্বচ্ছতা আনা গেলে রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। এর মধ্যে বন্ডেড ওয়্যার হাউজ থেকে ১ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করা যাবে। অন্য সব রাজস্ব খাত থেকেও আরো অধিক রাজস্ব আয় সম্ভব হবে।

তিনি বাজেট সম্পর্কে আরা বলেন, এবারের বাজেট কাগজ-পত্রে আগামী অর্থ বছরের জন্য হলেও এটা এমনভাবে তৈরী হয়েছে যে, এর ধারবাহিকতা ’৪১ সাল পর্যন্ত বজায় থাকবে।

তিনি ঋণ গ্রহণের সমালোচনার জবাবে বলেন, বাংলাদেশে ঋণ গ্রহণের শতকরা হার ৩৪ ভাগের কম। চীনে ঋণের পরিমান শতকরা ২৮৫ ভাগ। তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ আর ঋণ গ্রহণ করবে না, ঋণ দিবে।

অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনে চীন, মালেয়শিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার উদাহরণ তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ সব দেশ পারলে বাংলাদেশও পারবে। লক্ষ্যভূক্ত সময়ের আগেই বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।