ছেলেদের ২০২১ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক ভারতই থাকছে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, আর এবছরের পিছিয়ে যাওয়া আসরটি ২০২২ সালে হবে অস্ট্রেলিয়ায়। অন্যদিকে একবছর পিছিয়ে গেছে আগামী বছরের মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ।
করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছরের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাওয়ার কথা জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে জানিয়েছিল আইসিসি। কিন্তু ঝুলে ছিল আসছে দুবছরে পরপর দুটি ছোট ফরম্যাটের বিশ্বকাপের আয়োজকের নাম। ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি শুক্রবার জানালো সেটিও।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডে যে মেয়েদের বিশ্বকাপের আসর বসার কথা ছিল, সেটিও যথাসময়ে হচ্ছে না। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপটি পিছিয়ে ২০২২ সালে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈশ্বিক ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থার এক ভার্চুয়াল মিটিং শেষে বিশ্বকাপ আয়োজক জল্পনার ইতি টানা হয়েছে শুক্রবার। জানানো হয়েছে, চলতি বছরের অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের জন্য যে দলগুলো বাছাইপর্ব উতরে গিয়েছিল, আগামী বছরে ভারতের আসরে খেলবে তারাই। ২০২২ আসরের জন্য হবে নতুন বাছাই।
মহামারীর ধাক্কা সার্বিক সূচিতে যে বিপর্যয় ঘটিয়েছে, সেটার প্রভাব পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার আসরটিতেও। মারকাটারি ক্রিকেটের সপ্তম আসর হওয়ার কথা ছিল যেটির। মহামারীর সময়ে ১৬ দল নিয়ে আয়োজন, দলগুলোকে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা, সেসময়ের ব্যয় বহন, স্বাগতিকদের জন্য পরিস্থিতি নাজুকই ছিল।
আইসিসি ছেলেদের পরের তিনটি বিশ্বকাপের সূচি পুননির্ধারণ করেছে আগেই। আসছে তিন বছরে তাতে তিনটি বিশ্বকাপের দেখা মিলবে। ২০২৩ সালের আসরটি অবশ্য ওয়ানডে বিশ্বকাপের, সেটির আয়োজকও ভারত। তারা পরপর দুবছরে দুটি বিশ্বআসর আয়োজন করতে চায়নি বলেই ২০২২-এ আয়োজক অজিরা।
২০২১ সালের টি-টুয়েন্টি আয়োজনটি হবে অক্টোবর-নভেম্বরে, ফাইনালের জন্য ১৪ নভেম্বর লক্ষ্যে রাখা হয়েছে। পরের টি-টুয়েন্টি আসরটিও অক্টোবর-নভেম্বরে। আর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারতে হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপ পিছিয়ে একই বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে নিয়েছে আইসিসি, ফাইনালের জন্য রাখা হয়েছে ২৬ নভেম্বরকে।