পাকিস্তানের পূর্ব পাঞ্জাবের ৩টি গ্রামের প্রায় ২০০ শতাধিক শিশুকে যৌন হয়রানি, অসামাজিক কার্যকলাপের ভিডিও বিক্রি ও শিশুদের অভিভাবকদের ব্ল্যাক মেইলিংয়ের অভিযোগে ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়েছে। বিষয়টির নিয়ে পাকিস্তানে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
১৪ বছরের কমবয়সী ওইসব শিশুদের যৌন হয়রানির অভিযোগে রোববার অভিযুক্তদের মধ্যে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন পাকিস্তান পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে প্রায় দু’মাস ধরে পুলিশের কাছে অভিযোগ করলেও পুলিশ তাতে গুরুত্ব না দেয়ায় গত বুধবার প্রায় শতাধিক এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেন। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা অভিযুক্তদের রক্ষায় কাজ করছে। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশসহ ১২ জন আহত হয়।
শনিবার লাহোরের একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিকে ঘটনাটির বিস্তারিত প্রকাশ করায় বিষয়টি আলোচনায় আসে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ১৫ ব্যক্তি সেইসব শিশুদের মাদকাসক্ত করে অসামাজিক কার্যকলাপের ভিডিও তৈরি করতো। বর্বতার শিকার হওয়া শিশুদের মধ্যে ৬ বছর বয়সের শিশুরাও ছিলো।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, হয়রানির শিকার হওয়া শিশুরা তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে স্বর্ণ, টাকা-পয়সা চুরি করে সেই দলটিকে দিতো যেনো ভিডিওগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ না করে। তবে পাঞ্জাব পুলিশ এলাকাবাসীর অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, তাদের কাছে শুধু ৭টি অভিযোগ এসেছে।
পুলিশ অফিসার শাহাজাদ সুলতান জানান, ২০০৭ সালে শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় দলটি এই অনৈতিক কাজ শুরু করে। ভিডিওগুলোর বেশিরভাগ ছিলো কিশোর-কিশোরীদের সম্মতিতে তৈরি পর্নো ভিডিও।
কিন্তু অভিযোগকারীদের মধ্যে এক অভিভাবক বলেন, তার ২০ বছর বয়সী ছেলেকে ৫ বছর আগে যৌন হয়রানি করা হয়েছে যা তখন ছেলেটি তাদের জানায়নি।