চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আঠারো বছরে ‌হৃদয়ে মাটি ও মানুষ

শাইখ সিরাজের কৃষি বিষয়ক গণমাধ্যম কার্যক্রম হৃদয়ে মাটি ও মানুষ আজ পদার্পণ করলো ১৮ বছরে। ২০০৪ সালের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে চ্যানেল আইতে নিয়মিত সম্প্রচার শুরু হয় এইঅনুষ্ঠানের।

বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতি, মানুষের জীবন ব্যবস্থা, উন্নয়নসহ সামগ্রিক বিষয় নিয়ে প্রতি শনি ও রোববার হৃদয়ে মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়ে আসছে। বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের বিবেচনায় দেশের উন্নয়ন অর্থনীতিতে এ অনুষ্ঠানটি ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে।

সাবেক অর্থমন্ত্রীআবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন: হৃদয়ে মাটি ও মানুষ আমাদের কৃষিকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে নীতি পরিকল্পনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে। জাতীয় জীবনে কৃষির গুরুত্ব সু প্রতিষ্ঠিত করার পেছনে এ অনুষ্ঠানের অনন্য সাধারণ ভূমিকা রয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন: শাইখ সিরাজ হৃদয়ে মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এদেশের নীতি নির্ধারকদের চোখ খুলে দিয়েছেন। রাজনীতিবিদরা এদেশের কৃষির জন্য যা করতে পারেনি এ অনুষ্ঠানটি তার চেয়ে অনেক বেশি করেছে।

কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. সাত্তার মণ্ডল বলেন: হৃদয়ে মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠান কৃষির বহুমুখি অগ্রযাত্রায় অপরিসীম ভূমিকা রেখে চলেছে। বিশেষ করে কৃষির নতুন নতুন ধ্যান ধারণা ও প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বাণিজ্যিক উন্নয়নের ধারণা এই অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেছে। এর মধ্য দিয়ে অসংখ্য নতুন উদ্যোক্তার সৃষ্টি হয়েছে।

অর্থনীতিবিদ ও সাবেক কুটনীতিক ড. মোহাম্মদ পারভেজ ইমদাদ বলেছেন: হৃদয়ে মাটি ওমানুষ নীতি পরিকল্পনার সঙ্গে কৃষিকে যুক্ত করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছে। এই অনুষ্ঠানটির বহুমুখি প্রভাব অনস্বীকার্য। এর মাধ্যমে কুটনীতি ব্যবস্থায় নতুন এক ধারণার জন্ম হয়েছে, সেটি হচ্ছে কৃষি কূটনীতি। এক কোটি প্রবাসী জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশকে বিদেশের মাটিতে কৃষি সংশ্লিষ্ট সম্পৃক্তি আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় কতটা সহায়ক হতে পারে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তা মানুষ জানতে পারে।

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান বলেন: শাইখ সিরাজ এদেশের নতুন ধরণের কৃষি বিপ্লবের জন্ম দিয়েছেন। যেটি এদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় নিয়ামক হয়ে কাজ করছে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বলেছেন: হৃদয়ে মাটি ও মানুষ গণমাধ্যমে সবুজ বিপ্লবের জন্ম দিয়েছে। এদেশের কৃষি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে এ অনু্ষ্ঠানটির ভূমিকা অগ্রগণ্য। গবেষণা প্রকল্পের প্রাগ্রাধিকার নির্ধারণের ক্ষেত্রে এ অনুষ্ঠান দারুণ সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

হৃদয়ে মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানের ১৮ বছরে পদার্পণকে এক যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেনপররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন: এ অনুষ্ঠানটি সমাজের সকল শ্রেনীপেশার মানুষকে কৃষিমুখি করেছে। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে এটি অনেক বড় কাজ।

আঠারো বছরে পদার্পণ উপলক্ষে হৃদয়ে মাটি ও মানুষের উপস্থাপক পরিচালক; কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যমব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ বাংলাদেশ ও বিশ্বময় বসবাসকারী বাঙালিদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সকল নীতি নির্ধারক, অর্থনীতিবিদ, কৃষিবিদ, গবেষক, বিজ্ঞানী তথা সকল পেশাজীবীর অকুণ্ঠ ভালোবাসা ও সহযোগিতায় হৃদয়ে মাটি ও মানুষ সবার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।

তিনি দেশের সকল কৃষক ও খামারির প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।