৭৫’এ স্বজন হারানোর বেদনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন সুশীল সমাজের ভূমিকা ও তাদের বর্তমান কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছেন।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে জাতীয় শোকদিবসের এক পোস্টে তিনি লিখেছেন,হত্যা আর স্বজন হারানোর বেদনা আমার পরিবারের চেয়ে ভালো কেউ জানে না।
ওরা শুধু একজনকেই হত্যা করেনি। এমনকি খুনিরা আমার মামীদের, যাদের মধ্যে একজন ছিলেন সন্তানসম্ভবা, এবং শিশুদেরও রেহাই দেয়নি। ঠাণ্ডা মাথায় তারা আমার ১০ বছর বয়সী রাসেল মামাকেও হত্যা করেছিল। এরা ছিলো দানব।
জয় লিখেছেন,এই যখন অবস্থা, সেখানে ওইদিনের পত্রিকার দিকে তাকালে দেখবেন, কিছু লোক খুনিদের প্রশংসা পর্যন্ত করেছিল। নির্বাচনে আমার নানা’কে হারাতে না পেরে তাকে স্বৈরাচার বলে দাবি করেছিল তখনকার বিরোধীরা। এখন আমাদের সুশীল সমাজের কারো কারো কাছ থেকে বারবার একই কথা শোনা যাচ্ছে। গণতন্ত্রের মানে এই না যে সবাই একবার একবার করে ক্ষমতায় আসবে কিংবা সংসদে সমান সংখ্যক আসন পাবে। গণতান্ত্রিকভাবে জয়ী হতে হলে আপনাকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে এবং জনগণের ভোট পেতে হবে। এই বিষয়টা সুশীল সমাজের কেউ কেউ ১৯৭৫ সালে পাত্তা দেয়নি। এবং এখনও সুশীল সমাজের কেউ কেউ বিষয়টা পাত্তা দিতে চায় না।
এই ধরনের চিন্তাভাবনার পরিণতি কী হয় তা ইতিহাস দেখিয়েছে। মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর যেখানে অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করেছে, সেখানে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ ধুঁকেছে। তার কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত আমাদের দেশ দ্রুত উন্নতির পথে যেতে পারেনি। মাত্র ছয় বছরে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। ১৫ অগাস্টের হত্যাকাণ্ড না হলে আজ বাংলাদেশ উন্নত অর্থনীতির দেশ হতো।